ফর্ম হারিয়ে ক’দিন আগে বাদ পড়েছিলেন জাতীয় দলের একাদশ থেকে। সেই মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংসকে জিতিয়ে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শুরুতেই আলো কেড়ে নেওয়া ফিজ অবশ্য আইপিএলের পুরো আসর খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। কারণ জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য তাকে আইপিএল ফেলে দেশে আসতে হতে পারে।
যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজে থাকলেও সব ম্যাচ খেলা হবে না তার। এপ্রিলের ২৮ তারিখ বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৫ ও ৭ মে আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী ম্যাচের ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১০ ও ১২ মে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ।
দেশের বাইরের লিগে খেলতে গেলে বোর্ড থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা অনাপত্তিপত্র অর্থাৎ এনওসি নিতে হয় ক্রিকেটারদের। বিসিবি মুস্তাফিজকে এনওসি দিয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তাই আইপিএল খেলতে পারবেন না তিনি, এমনটাই জানা গেছে। এ বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চ। এ কারণে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে সিরিজটি, যেখানে মুস্তাফিজকে নিয়েই স্কোয়াড সাজাতে আগ্রহী নির্বাচকরা।
তবে মুস্তাফিজ বা অন্য বোলারদের এই সিরিজে টানা ম্যাচ খেলানোর ভাবনা নেই। মূলত ক্রিকেটারদের চোট ও ধকল থেকে দূরে রাখতেই পেসারদের রোটেশন পদ্ধতিতে খেলানোর চিন্তা নির্বাচক প্যানেলের। সেক্ষেত্রে স্কোয়াডে পেসারদের সংখ্যার আধিক্যও দেখা যেতে পারে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আইপিএলে যোগ দিতে পারবেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে মে মাসের শেষদিকে। তবে চেন্নাইয়ের মতো দলে একবার জায়গা হারালে টিম কম্বিনেশন অনুযায়ী আবার জায়গা ফিরে পাওয়া কঠিন হতে পারে যে কারও জন্য। যদিও প্রথম ম্যাচে দলকে জেতানোর পর আপাতত মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের পরের ম্যাচে অনেকটা অটো চয়েজ কাটার মাস্টার।