মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে বিএনপির নেতা এম এ কাইয়ুমকে আটক করা হয়েছে। অভিবাসন আইনের আওতায় স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে পুলিশ তাকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানায় নেয়।
এম এ কাইয়ুম কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এম এ কাইয়ুমের পরিবারের সদস্য ও মানবাধিকারকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাইয়ুমের স্বজনেরা বলেছেন, ২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় তিনি ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে অবস্থান করছেন। এর পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
কুয়ালালামপুর থেকে এম এ কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম মোবাইলে জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফিরে গাড়ি পার্ক করছিলেন কাইয়ুম। এ সময় পুলিশের একটি দল এসে তাকে থানায় যেতে বলে। পুলিশ তাকে বলেছে, অভিবাসন আইনের আওতায় অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে তাকে আটক করা হচ্ছে। কারণ, তার পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে। পরে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশকে এটাও জানানো হয় যে তিনি ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
শামীম আরা বেগম আরও বলেন, তিনি স্থানীয় আমপাং থানায় গিয়ে স্বামীর পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে এসেছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আগামী সোমবার আইনজীবীকে নিয়ে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। বিএনপির নেতা কাইয়ুম ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জানা গেছে, তাদের অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে কুয়ালালামপুরের মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারাম এম এ কাইয়ুমের আটকের পর স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আটকের বিষয়টি সুয়ারাম ব্যাংককে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের নজরে এনেছে।মানবাধিকার সংগঠনটি ইউএনএইচসিআরের স্থানীয় দপ্তরে যোগাযোগ করে এমএ কাইয়ুমের মুক্তির জন্য সহযোগিতা চেয়েছে।