বিএনপিরাজনীতি

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলন সফলে আরও দুদিনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। যুগপতভাবে এই কর্মসূচি পালিত হবে। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ও শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

প্রসঙ্গত, তিন দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। কর্মসূচি পালনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে বহু কষ্টে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারছেনা দেশের জনগণ। মাঝে মধ্যে এমন শাসক ক্ষমতায় আসেন তারা জনগণের কাঁধে চেপে বসেন। এখন আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছেন। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এসব করছেন।

তিনি বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা যেন মাস্তানের মতো কথা বলছেন। বিশেষ করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান যে ভাষায় কথা বলেন তা সম্পূর্ণ ছাত্রলীগের নেতাদের মতো। তিনি রাতের আঁধারে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল, কৃষকদল নেতা মেহেদী হাসান পলাশ তাদেরকে ধরে জোর করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করছে। সবকিছুই মনিটরিং করছে সরকার আর বাস্তবায়ন করছে তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা কিভাবে নাশকতা করে? আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন পুলিশের নজরদারির মধ্যে বন্দী।

রিজভী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, আমরা কিন্তু বেলুচিস্তান ও রাজস্থান থেকে আসিনি। আমরা এদেশের সন্তান। এ দেশের আলো বাতাস ও মাটির গন্ধ আমাদের গায়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি কি চান? সেটা বলে দেন। মনে রাখবেন এসবের হিসাব কিন্তু জনগণের কাছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যত নাশকতাকারী হাতে নাতে ধরা হয়েছে তার সবই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজন। যেভাবে ২০১৩-২০১৪ সালে সরকার ও তার সংস্থার লোকেরা পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করেছে এখনো তেমনই করা হচ্ছে।

‘নির্বাচন ইস্যুতে কোনো বিশৃঙ্খলা সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে‘- গোয়েন্দা প্রধানের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আমরাও কিন্তু সংবিধান পড়েছি। ওটাতে হিব্রু ভাষায় লেখা নেই। সুতরাং আপনারা নিজেরাও সংবিধান ভালোভাবে পড়ুন। দেশের ইতিহাস জানুন। এতোই যদি সংবিধান প্রীতি আপনার বা আপনার সরকারের থাকতো তাহলে ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের অধীনে নির্বাচন কেন করলেন? সেখানে তো সংসদ ভেঙে তিনমাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলাছিল। কিন্তু তারা কেনো দুই বছর ক্ষমতায় থাকল?

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের পর ২৯ অক্টোবর থেকে দলটি চার দফা হরতাল ও ১৩ দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এরপর আবারও নতুন কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button