মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর, হরিরামপুর এবং সদর উপজেলার পুটাইল, ভাড়ারিয়া ও হাটিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে এবার চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। একবার সংরক্ষিত আসনে এবং গত দুবার নির্বাচিত এমপি মমতাজের ভোটে ভাগ বসাবেন ওই প্রার্থীরা। অবশ্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে বলে মমতাজকে এগিয়ে রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে পারলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে, এটাও মনে করছেন তারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। ইতিমধ্যে দুপক্ষের মধ্যে হুমকি-ধমকি, উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ট্রাক প্রতীকের এই প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোড়া প্রতীকে দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া জাতীয় দলের সাবেক এ ফুটবলার সংগঠকও হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন। তিনি ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এলাকার মানুষের পাশে থাকায় তাকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ আছে। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
স্বতন্ত্র বাকি দুজন হলেন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করা সিংগাইর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কেটলি প্রতীকের মুশফিকুর রহমান খান এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ঈগল প্রতীকের মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল। অন্য পাঁচ দলের প্রার্থীও রয়েছে এখানে।
দীর্ঘদিন এমপি থাকার কারণে এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বিদ্যুৎ ও স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন মমতাজ বেগম। জনগণের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানান এই এমপি।
অবশ্য বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশ রয়েছে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সঙ্গে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতার গোপন সমর্থনও রয়েছে তার পক্ষে। ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে নেই আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোড়া প্রতীকে দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। মুশফিকুর রহমান খান হান্নানের পক্ষেও রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। হরিরামপুর উপজেলা থেকে সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল একাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় একটি বিশেষ অঞ্চলের ভোট পাবেন বলে মনে করেন নির্বাচনী এলাকার জনগণ।