জ্বালানিসংকট বেড়েছে,ফিরল লোডশেডিং
বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বৃদ্ধিতে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রান্নার চুলাতেও কমেছে গ্যাসের সরবরাহ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ।সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে না সরকার।
ফলে গ্যাস সরবরাহ গত কয়েক দিনে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। ফলে কমাতে হয়েছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। একইভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, “গ্যাসের স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী গতকাল ঢাকায় লোডশেডিং হয়েছে ৪৫১ মেগাওয়াট। যা গত ১০ দিন আগেও ছিল ২৮৭ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের বৃদ্ধির হার ৫৭ শতাংশ। এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার লোডশেডিং করার কথা থাকলেও দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ঢাকার বাইরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি।
কোনো কোনো এলাকায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। মহানগরীর মিরপুর এলাকায় তিন-চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। শুধু মিরপুরেই নয়, হাজারীবাগ এলাকায় দু-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দা হান্নান মিয়া।এর আগে ডলার–সংকটে পড়ে জ্বালানি সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয় পরিকল্পিত লোডশেডিং। যদিও জুলাইয়ের শুরু থেকেই লোডশেডিং ছিল। দিনে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও তা মানা হয়নি। রাজধানীতে গড়ে দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও লোডশেডিং ছিল আট ঘণ্টা পর্যন্ত। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ঢাকায় কিছুটা কমলেও অক্টোবরে আগের চেয়ে বেড়ে গেছে লোডশেডিং।