অর্থ ও বাণিজ্যবাংলাদেশবিদ্যুৎ ও জ্বালানী

কুইক রেন্টাল চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়িয়েছে সরকার

ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর করে বাড়িয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০ মেগাওয়াট।আজ বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০১০ সালে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইন পাস করে। এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়াতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন আইন করা হয়।

ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন নিরুৎসাহিত করা হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ল কোন যুক্তিতে, এ বিষয়ে বৈঠকের সভাপতি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের কিছু জানাননি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক সাধারণত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে থাকেন। তিনিও আজ তা করেননি।

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পাওয়ার প্যাক লিমিটেড ও চট্টগ্রামের অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট করে।রাজশাহীর নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনহা পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট করে।

সভা শেষে কেন ব্রিফ করেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল বারিক বলেন, ‘আমি নির্দেশিত হইনি।’ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আবদুল বারিক বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, বিদ্যুৎ না দিলে টাকা পাবেন না (নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট), এ ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

ক্রয় কমিটির এর আগের বৈঠকে (গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত) রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম এবং ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আতপ ও সিদ্ধ মিলিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় তারও এক সপ্তাহ আগে ২৪ আগস্ট।

ওই দিন রাশিয়ার গমের দর ছিল প্রতি টন ৩৩০ ডলার। তবে বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছাতে প্রতি টনের দাম দাঁড়াবে ৩৮৭ ডলারে। বাড়তি দরে গম আমদানি করায় এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।এদিকে মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ক্রয় কমিটিতে। প্রতিটন চালের দাম পড়বে ৪৬৫ ডলার। তবে বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে কেনা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

Back to top button