ময়মনসিংহের ভালুকায় মাদক ব্যবসা ও ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক এসআই ও দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভালুকা মডেল থানার এসআই মানস কুমার শিকদার (২৯), কনস্টেবল আব্দুল মান্নান(৩৪), কনস্টেবল মুসফিকুজ্জামান (৩৪), স্থানীয় মো. আশিকুর রহমান নিরব (২৪) ও মো. খোকন সেখ (২৬)।
ওই ঘটনায় মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর- ৬।ভালুকা মডেল থানার এসআই ফজিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে প্রায় দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ৯৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে থানা পুলিশ।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে থানা পুলিশ গাজীপুরের উত্তর বিলাসপুর গ্রামের তারাপদ শিকদারের ছেলে ভালুকা মডেল থানার এসআই মানস কুমার শিকদার, নেত্রকোনার কুনিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে ভালুকা মডেল থানার কনস্টেবল মো. আব্দুল মান্নান, একই জেলার তিয়শ্রী গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ভালুকা মডেল থানার কনস্টেবল মো. মুসফিকুজ্জামাকে পুলিশি হেফাজতে নেন।এরপর ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড টিএন্ডটি রোডস্থ কনস্টেবল আব্দুল মান্নানের ভাড়া বাসায় তল্লাসি চালিয়ে থানা পুলিশ ৭৬৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ।
ভালুকা থানা পুলিশ, মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী লেনে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালায়।
ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভালুকা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আতিকুর রহমান আতিকের ছেলে মো. আশিকুর রহমান নিরব ও একই এলাকার আবদুল কাদের সেখের ছেলে মো. খোকন সেখ দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ ধাওয়া করে তাদেরকে আটক করে। পরে, তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ ২২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
এসময় আটককৃতরা পুলিশকে জানায়, ভালুকা মডেল থানার এসআই মানস কুমার শিকদার, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও কনস্টেবল মুসফিকুজ্জামানের সহযোগিতায় তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল মো. আবদুল মান্নান পুলিশকে জানান, এসআই মানস কুমার শিকদার ও কনস্টেবল মুসফিকুজ্জামানের সহয়তায় তিনি মাদক ব্যবসা করে আসছেন। পরে, পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা নিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে
অসুবিধা নেই, দুদিন পর ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজে লিপ্ত হবে!
অন্য কাজের অভিজ্ঞতা নেই!😭