আওয়ামী লীগচট্টগ্রামরাজনীতিশিক্ষাঙ্গন

নওফেলে যে আশ্বাসে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পেয়ে অবরোধ করে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রীর আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অবরোধকারী ছাত্রলীগ কর্মীরা।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিক্ষোভরত পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে তার একটি পোস্টের পর আন্দোলন স্থগিত করেছেন পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীরা।এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে আন্দোলনকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘ছাত্র সংগঠনের পদপদবীর বিষয়ে কোনো দাবি থাকলে সংগঠনের যেকোনো কর্মী, নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।

কোনো সাংগঠনিক দাবি থাকলে সেটি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা যায়।কিন্তু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা, ভাঙচুর করা, অপহরণ করা, অপরাধের হুমকি দেওয়া, হত্যার হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শিক কর্মীর কাজ হতে পারে না। যারা এসব করছে তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থেই অরাজকতা করছে, এদের কাছে সংগঠন বা শিক্ষার মূল্য আছে বলে মনে হয় না।

নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে অপরাধমূলক সহিংসতা যারা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন। ’আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, ‘আমরা চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছি। আমাদের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইয়ের আশ্বাস পেয়েছি। তাই এখন আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির দিকে এগোবো।

’অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম শহরের ষোলোশহর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এস এম ফখরুল আলম জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চলাচলের বিষয়ে তাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এরপর রাত ১টার দিকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা উত্তেজনাবসত ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি হলের কিছু রুমে ভাঙচুরও করে। এরপরে ভোর রাতের দিকে তারা ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকার মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।

Back to top button