ঢাকাফরিদপুরবাংলাদেশভ্রমণমুন্সিগঞ্জ

১ আগস্ট থেকে যাত্রীবাহী বাস বাড়ছে ঢাকা মাওয়া রুটে

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে আগস্ট থেকে ঢাকা-মাওয়া রুটে বাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতি। যাত্রী কল্যাণ পরিষদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ জুলাই) শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্ত জানান।

বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আগামী ১ আগস্ট থেকে গুলিস্থান-লৌহজং রুটে প্রচেষ্টা পরিবহনের ২০টি বাস, যাত্রাবাড়ী-লৌহজং রুটে তাজ আনন্দ পরিবহনের ৫টি, গুণগুণ পরিবহনের ৭টি ও ঘাটতি পূরণে ইলিশ পরিবহন তাদের বাস দিবে। এ সময় তারা ঢাকা-শ্রীনগর ভাড়া ৭০ টাকার স্থলে ৮০ টাকা ও মাওয়া পর্যন্ত ৮০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা করার দাবি করেন এবং রুট পারমিট প্রদান সহজ করার কথা বলেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা-মাওয়া রুটে চলাচলকারী বাস কোম্পানিগুলো রুট পরিবর্তন করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চলে যায়। রুট পরিবর্তনের কারণে বাস কোম্পানিগুলো মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলার যাত্রীদেরকে বাসে উঠানো-নামানো থেকে বিরত থাকে।

ঢাকা থেকে কেউ মাওয়াগামী বাসে উঠে পড়লে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রুটের ভাড়া রাখা হয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের সাথে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরি হতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সরব হয়ে ওঠে তিন উপজেলার সাধারণ মানুষ।

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মসিউর রহমান মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ, যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, শ্রীনগর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আরিফ হোসেন টিপু, মুন্সীগঞ্জ জেলা বাস মলিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, কার্যকরী সভাপতি আলী আকবরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এর আগে গত ৮ জুলাই শ্রীনগর প্রেসক্লাবে জড়ো হয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ নামে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ছনবাড়িতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর যাত্রী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে ১৫ জুলাই শ্রীনগর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। সর্বশেষ ২৩ জুলাই সকালে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা দাবি আদায়ে শ্রীনগর পুরনো ফেরিঘাটে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ ও হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

Back to top button