অপরাধইউরোপএক্সক্লুসিভঢাকাপ্রবাসবাংলাদেশমাদারীপুর

মোবাইলে বিয়ে মেনে না নেয়ায় শ্বাশুড়ীকে পিটিয়ে আহত করল পুত্রবধু

ছেলে ইতালি প্রবাসী। ইতালি থেকেই মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ দুধখালি গ্রামের কেয়াকে (২৩) মোবাইলফোনে বিয়ে করেন একই এলাকার বাসিন্দা মিজান মোল্লা (৩৫)। কিন্তু ছেলের এই বিয়ে মেনে নেননি মিজানের মা নাহার বেগম (৫৫)। এ ঘটনায় শাশুড়িকে পিটিয়ে আহত করেছেন কেয়া।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, চান্দু মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লাকে ছয় বছর আগে ইতালি পাঠায় তার পরিবার। ইতালি পৌঁছে ফোলালাপের মাধ্যমে একই এলাকার মোকসেদ হাওলাদারের মেয়ে কেয়ার সাথে মিজানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে নিজ পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মিজান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানের স্ত্রী কেয়া মুঠোফোনে বলেন, আমার শাশুড়ির সাথে আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা চললেও এ ঘটনায় আমার পরিবারের সদস্যদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।শাশুড়িকে মারাধরের বিষয়ে কেয়া জানান, তিনি আমার চুল ধরলে আমিও সামান্য হাতাহাতি করেছি। তবে গুরুতর আহত হবার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এক বছর আগে ইতালি থাকা অবস্থায় মুঠোফোনের মাধ্যমে কেয়াকে বিয়ে করে মিজান। কেয়ার পরিবার এ বিয়ে মেনে নিলেও মিজানের মা নাহার আক্তার বিষয়টি মেনে নেননি। এ কারণে কেয়া তার বাবার বাড়িতেই থাকে। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে শাশুড়িকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও চাপ দিতে শুরু করে কেয়া ও তার পরিবার।

এর পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে প্রায়ই তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছে মিজানের পরিবার।এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে নাহার বেগমকে মারধর করে আহত করেন কেয়া ও তার পরিবারের লোকজনরা। এরপর আহত নাহারকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন আহতের পরিবারের লোকজন।

আহত নাহার বেগম বলেন, আমি থানায় অভিযোগ দিতে যাব। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, এ ঘটনায় এখনী কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Back to top button