আবহাওয়ার উল্টো প্রভাব, চৈত্র মাসে শীত অনুভূত
চার দিন আগেও খরতাপে মানুষ পথ চলতে গিয়ে ছায়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে। অফিস-আদালত, বাসা–বাড়িতে একটানা ঘুরেছে বৈদ্যুতিক পাখা। কিন্তু এই মধ্য চৈত্রে রংপুরে হঠাৎ করে বদলে যায় আবহাওয়া। বইতে শুরু করে উত্তরের হিমেল হাওয়া।
আজ শনিবার সকালে রংপুরের শহরতলির কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকই গায়ে হালকা জ্যাকেট পরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। গ্রামের মাঠে যাঁরা কাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরাও শরীরে হালকা গরম কাপড় জড়িয়ে নিয়েছেন।
তিন দিন ধরে রংপুরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সঙ্গে রাতে হালকা বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে গরম। শীত শীত অনুভূতির কারণে অফিস-বাসা–বাড়ির বৈদ্যুতিক পাখাগুলো ঘুরছে না।নগরের নিসবেতগঞ্জ সেতুর কাছে সাইকেল চালিয়ে শহরের কর্মস্থলে রওনা হওয়া বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের মধ্যে লাহিড়ীর হাট এলাকার সুনীল সরকার বলেন, চার দিন আগেও গরমে কাহিল অবস্থা ছিল। আর এখন ঠান্ডা। চৈত্র মাসে প্রচণ্ড গরম থাকার কথা। কিন্তু আবহাওয়া এখন ওলট-পালট হয়ে গেছে।
এমন ওলট-পালট আবহাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম বলেন, এই গরম, এই শীত—এমন আবহাওয়ার কারণে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রবণতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশুদের হঠাৎ গলাব্যথাও দেখা দিতে পারে।
তিন দিন ধরে রংপুরের আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। গরমের সময় এমন ঠান্ডা আবহাওয়া ভালো লাগলেও পরিবেশের জন্য খুব একটা ভালো নয় বলে মনে করেন শহরের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাসুদ খান। তিনি বলেন, গরমের সময় গরম থাকা দরকার। তা না হলে প্রকৃতির ভারসাম্য থাকে না।
এ বিষয়ে কথা হয় রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, উত্তর থেকে আসা হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস বইছে। গত দুই দিনে প্রায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চৈত্র মাসে এসেও শীত শীত অনুভূত হচ্ছে।কামরুল হাসান আরও বলেন, সাধারণত এ সময় এমন আবহাওয়া হওয়ার কথা নয়। এটি জলবায়ু পরিবর্তনেরও প্রভাব। এ অবস্থা শিগগিরই কেটে যাবে। তবে মাঝেমধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূতি থাকবে।