বিবিসির প্রতিবেদনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের পরিস্থিতি
ইউক্রেনে পুতিন আগ্রাসন চালাতে পারেন, এমন শঙ্কায় পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরু হয় ‘দৌড়ঝাপ’। এ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের শীর্ষ নেতারা রাশিয়ার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন, দিয়েছিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি। কিন্তু কোনোভাবেই তারা রুশ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে দমাতে পারেননি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত টানা ২০ দিনের মতো চলছে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত।চলমান আগ্রাসনে একে একে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী শহরগুলো দখল করছে রুশ বাহিনী।দেশটির বিভিন্ন শহরে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। কোথাও কোথাও আচমকা হামলা করছে রুশ বাহিনী। বিবিসির এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
খারকিভ: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই শহরটি ঘেরাও করার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। কিন্তু তাদের অস্ত্রের মজুদ শেষ হওয়ার পথে বলে দাবি করছে বিবিসি।
খেরসন: মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাশিয়া দাবি করে, এই শহরটি তাদের দখলে। পরে তাদের এই দাবি মিথ্যা বলে জানায় ইউক্রেন। শহরটির পাশে থাকা দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর জাপোরিঝিয়া ও মাইকোলাইভে এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি রুশ বাহিনী।
মারিওপল: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের এই শহরটিতে ক্রমাগত হামলা করছে রুশ বাহিনী। মূলত শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে হামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওদেশা: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর নগরীতে এখনো কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি মস্কো। কারণ শহরটিতে কোনো সেনা মোতায়েন করা হয়নি।
কিয়েভ: শহরের বাইরেই ইরপিন ও গুতা-মেজিহির্কসা এলাকায় হামলা করেছে রুশ বাহিনী। সোমবার (১৪ মার্চ) ও মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এসব হামলা হয়েছে। এছাড়া হামলার কারণে শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে আগুনের ঘটনাও ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ২ জন। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভে কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি।