অপরাধএক্সক্লুসিভরাজধানী

কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ

রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ছাত্রীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রেখে পালিয়ে যান ধর্ষকরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় এক নারী তাকে উদ্ধার করে  বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই ছাত্রীর দেওয়া ভাষ্যমতে ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে লালবাগের কেল্লার মোড়ে আল আমিন ও শুভ নামে দুজন তাঁকে মুখে রুমাল চেপে ধরলে তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেন। পরে চেতনা ফিরলে দেখতে পান, একটি পরিত্যক্ত ভবনের ভেতরে তিনি। ভবনে তাঁরা ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। ভবনটি কোন এলাকায়, তা চিনতে পারেননি।

শুভ ও আল আমিন তাঁর পূর্বপরিচিত বলে জানান ছাত্রীটি। তিনি বলেছেন, কিছুদিন ধরে শুভ তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ফোনে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাতে শুভর মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আল আমিনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

ছাত্রী অভিযোগ করেন, চেতনা ফিরলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি শুভ ও আল আমিনের কাছে কাকুতি–মিনতি করেন। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি। উল্টো তাঁরা ধর্ষণ করতে চান। এতে বাধা দিলে তাঁকে তাঁরা মারধর ও ধর্ষণ করেন। এভাবে চার দিন আটকে রেখে তাঁকে প্রতিদিন তাঁরা দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রেখে পালিয়ে যান ওই দুজন। সেখান থেকে এক নারী তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

এদিকে ওই খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুল হক। তিনি রাতে বলেন, ‘মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে। তবে অভিযুক্ত শুভ ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

তবে ভুক্তভোগী বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। কখনো বলছেন স্কুলে পড়াশোনা করেন, পরে বলছেন মাদরাসায় পড়েন, আবার বলে লেদার টেকনিক্যাল কলেজে পরেন। তদন্তের পর সঠিকভাবে বলা যাবে বলে জানান এই পুলিশ পরিদর্শক।  

Back to top button