নরসিংদী শহরে বাসায় ঢুকে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার শহরের সাটিরপাড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।নিহত গৃহবধূর নাম মানসুরা আক্তার ইতি (২৪)। তিনি শহরের সাটিরপাড়া কে কে ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পৌরনীতি বিষয়ের প্রভাষক মশিউর রহমান হিমেলের স্ত্রী। এই দম্পতির চার বছরের এক কন্যাশিশু আছে।
কে বা কারা গৃহবধূকে হত্যার পর দরজা খোলা রেখে পালিয়ে যায়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।পরে খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, এই দম্পতি তাঁদের শিশুসন্তানকে নিয়ে চারতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এক বছর ধরে ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী মানসুরাকে বাসায় রেখে স্বামী মশিউর রহমান তাঁর গ্রামের বাড়ি বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ এলাকায় যান। শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই বাসায় মানসুরার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে গৃহবধূর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার। সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘কে বা কারা ওই গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে, তা আমরা তদন্ত করে বের করব। সম্ভাব্য সব বিষয় সামনে রেখেই পুলিশি তদন্ত করা হবে। আশা করছি, দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারব।’
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই নূর মোহাম্মদ বলেন, ছয় বছর আগে ছোট বোন মানসুরার সঙ্গে মশিউরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এক বছর ধরে ওই বাসায় ওঠার পর থেকেই প্রতি শুক্রবার মানসুরাকে বাসায় রেখে মশিউর তাঁর গ্রামের বাড়িতে যেতেন। গলাকাটা লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকার খবর পেয়ে তিনি এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে কাকে যে সন্দেহ করব, সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে যে বা যারা আমার বোনকে দিনদুপুরে এমনভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত গৃহবধূর বাবা, মা ও ভাই পাঁচদোনা থেকে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন। নিহত মানসুরার স্বামী মশিউর রহমানও খবর পেয়ে ওই বাসায় ফিরেছেন। পুলিশ সদস্যরা নিহতের স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন।