বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী (১৫) বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সোমবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার ছেলে আরিফ (২৬)। সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, নুর ইসলামকে আমি খালু বলে ডাকতাম। তাদের বাসায় গেলে আমাকে দিয়ে তারা কাজ করাতেন। প্রায় দিনই নুর ইসলাম আমার শরীরে হাত দিতেন। বিয়ের করার কথা বলতেন। আমি চুপ করে শুনতাম। তার ছেলে আরিফও একই কাজ করতেন। পরে এক দিন আরিফ জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে আরও দুই দিন ধর্ষণ করেছে। ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। এখন সবাই বলছে আমার নাকি বাচ্চা হবে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, “আমার মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে সেই উপার্জানে সংসার চালাই।কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকে, আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়, কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনওই ভাবিনি, বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না। ”
তিনি আরও বলেন, “নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়, সে আমার ছোট মেয়েটার দিকে কুনজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে আমি তার কঠিন বিচার চাই। ”ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা সদর থানার ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় নুর ইসলাম ও তার ছেলে আরিফকে থানায় আনেন। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।