সাতক্ষীরায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষিতার মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমার মায়ের সাথে যে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তা অবর্ণনীয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। দুর্বৃত্তরা এ সময় তার মায়ের কানের দুল ও পায়ের নুপুর ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য নজিবুর রহমান টুটুল জানান, অমানবিক কাজের নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানা।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী পরিত্যক্তা ওই গৃহবধূ জানান, কেউ না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তিন জনের একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তার ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ও মুখে উপর কম্বল চেপে ধরে এবং পিঠমোড়া দিয়ে হাত বেঁধে এক দুর্বৃত্ত তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অপর দুই জন এ সময় বাহিরে পাহারা দিতে থাকে। এ সময় তিনি ধস্তাধস্তির চেষ্টা করলে তার দুই হাতে ও গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আহত গৃহবধূ এ ধরনের অমানবিক কাজের জন্য জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থ রয়েছেন।সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।