কুমিল্লার বিষ্ণুপুর এলাকায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জেলে যান শ্বশুর বাচ্চু মিয়া রুমি (৪৫)। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে পুত্রবধূকে হত্যার চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা যায়, নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে ভুক্তভোগীর বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দেন তিনি। পরে কৌশলে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন। একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ায় পুত্রবধূ বিষয়টি শাশুড়িকে জানান।
সম্প্রতি বাচ্চু মিয়া জামিনে বের হয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন। গত শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে পুত্রবধূর ওপর হামলা চালায় বাচ্চু মিয়া। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রক্ষা পায় ওই নারী। এ ঘটনায় সোমবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই পুত্রবধূ কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি জানান, বাচ্চু মিয়া ও সহযোগীরা তাকে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
শ্বশুরের হাত থেকে বাঁচতে স্বামীকে নিয়ে হাউজিং এস্টেট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত বছরের ২০ অক্টোবর রাতে বাচ্চু মিয়া ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে পুনরায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে বাচ্চু মিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লা আদালতে আইনগত সহায়তা কেন্দ্রের (আসক) মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ আসামি বাচ্চু মিয়াকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তাহমিনা বেগম জানান, ওই নারী একেবারে অসচ্ছল। তাই সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আসামি জামিনে গিয়ে বাদীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা আদালতের কাছে আসামির জামিন বাতিলের আবেদন করবো।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্ওয়ারুল আজিম জানান, মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।