এভিয়েশনবাংলাদেশ

পাইলট নওশাদের মরদেহ আগামীকাল আসবে

সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভারত থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ দেশে আনা হবে। এজন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। কাতারের দোহা থেকে ঢাকাগামী বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে দেশে আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান।

এ জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।মঙ্গলবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ভারত থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ দেশে আনা হবে।বর্তমানে ক্যাপ্টেনের মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে রাখা আছে।

বিমান সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০২৫ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে কাতারের উদ্দেশে রওনা হয়ে স্থানীয় সময় ৫টা ৪০ মিনিটে দোহায় পৌঁছাবে। একইদিন বিজি-০২৬’এ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ভারতের নাগপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে পৌঁছাবে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ নিয়ে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ক্যাপ্টেন নওশাদের দুই বোনও এ সময় যাত্রী হিসেবে ফ্লাইটে থাকবেন।

 গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে কাছের নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। ওইদিনই আরেকটি ফ্লাইটে করে ৮ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর প্লেনটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

জরুরি অবতরণের পরপরই এই পাইলটকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত রবিবার হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

Back to top button