জবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. মেসবাহের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।তিনি জগন্নাথ বিদ্যালয়ের জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
গতকাল রোববার রাতে বাসার একটি কক্ষে তাঁকে তাঁর দুই ভাই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় আজ সোমবার উত্তরা পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বরিশালের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
জহিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা তিনভাই মিলে একটা কোচিং সেন্টার চালু করে।করোনার কারণে দুইভাই কোচিং সেন্টারেই থাকতো। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সে কোচিং সেন্টার থেকেই মেসবাহের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মেসবাহর সহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বেশকিছুদিন ধরেই সে (মেসবাহ)বিষন্নতায় ভুগছিল। অনেকের ধারণা প্রেমঘটিত কারণেই সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁরা বাসার নিচে হাঁটতে নামেন।আধা ঘণ্টা হাঁটার পরে মেসবাহ বাসায় চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে মেসবাহর খালাতো ভাই তাঁর (মেসবাহ) রুমে এসে তাঁকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় কোচিংয়ের একটি পাঠকক্ষের দরজা বন্ধ পেয়ে তিনি মেসবাহর বড় ভাইকে জানান। পরে সেই কক্ষে মেজবাহকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তাঁরাই লাশ নামিয়ে পুলিশকে খবর দিলে প্যাট্রোল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।