উচ্চবিত্ত পরিবারের ১০ সন্তান আইস-ইয়াবাসহ গ্রেফতার
ভয়ঙ্কর মাদক আইস (ক্রিস্টাল ম্যাথ) ও ইয়াবাসহ উচ্চবিত্ত পরিবারের ১০ সন্তানকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সংস্থাটির দাবি, গ্রেফতার সবাই একটি চক্রের সদস্য। এরা একসঙ্গে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা। তারা সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান। এদের অনেকে মালয়েশিয়া থেকে কেউ লন্ডন আবার অনেকে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেছেন। তাদের কেউ নিজে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবার কেউ শিল্পপতির সন্তান।
গ্রেফতাররা হলেন- রুবায়াত (৩২) রোহিত হোসেন (২৭), মাসুম হান্নান (৪৯), আমান উল্লাহ (৩০), মোহাইমিনুল ইসলাম ইভান (২৯), মুসা উইল বাবর (৩৯), সৈয়দা আনিকা জামান ওরফে অর্পিতা জামান (৩০), লায়লা আফরোজ প্রিয়া (২৬), তানজীম আলী শাহ (৩২) ও হাসিবুল ইসলাম (২২)।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তেজগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্টো উত্তর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্টোর অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান এসব তথ্য জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্টোর গোয়েন্দা দল মাঠে নামে। তদন্তে একটি শক্তিশালী আইস নেটওয়ার্কের সন্ধান পায় এবং শনাক্ত করে। ২০ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে ২১ আগস্ট ভোর ৬টা পর্যন্ত ৫টি টিম অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই নারীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।’
অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ‘প্রথমে বনানীতে বাবরের বাসায় অভিযান চালিয়ে বাবর, রুবায়াত ও রোহিত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা, খিলগাঁও, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও রামপুরা থেকে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। আর ইভানের তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবার ডিলার অর্পিতা ও প্রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।’
‘আইস’ মাদকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ইয়াবার চেয়ে আইস ২০ গুণ এনার্জেটিক, ফাঁকি দেওয়া সহজ ও সামান্য আইসই লাখ লাখ ইয়াবা তৈরির কাঁচামাল। তাই মাদক হিসেবে আইসের ব্যবহার বাড়ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ‘সবেমাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের যথেষ্ট সময় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে এসব আইস আনা হয়েছে। তবে এরা কার কাছ থেকে আইস পেয়েছে, তাদের কাউকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’