পরীমণির ‘মম’ নাট্যকার চয়নিকা চৌধুরী আটক
পরীমণির ‘মম’ নাট্যকার চয়নিকা চৌধুরী আটক।চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যাল থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া মডেল পিয়াসা, মৌ এবং নায়িকা পরীমণিসহ বেশ কয়েকজনকে ডিজে পার্টি এবং মাদকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এসব নায়িকা ও মডেলের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চয়নিকা চৌধুরীকে আটক প্রসঙ্গে ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি ও পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘টেলিভিশন স্ক্রল দেখে আমরা চয়নিকাকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়টি আমরা এখনো জানতে পারিনি, তবে জানার চেষ্টা করছি।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, পরীমণি সংশ্লিষ্টে তার (চয়নিকার) উপর আমরা নজরদারি অব্যাহত রেখেছিলাম। আমাদের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।এছাড়া আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় চয়নিকা চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এই নাট্টনির্মাতাকে নিজের ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নির্মাতা। বিশেষ করে গত মাসে ঢাকার সাভারে উত্তরা বোটক্লাব কাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমণিকে সাহস জুগিয়েছিলেন চয়নিকা।শুক্রবার বিকেলে একটি বেসরকারী টেলিভিশনের কার্যালয় থেকে ফেরার পথে তার গাড়িতে উঠে ডিবি সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ঢাকা বোর্ড ক্লাবের ঘটনায় পরীমণি চয়নিকাকে কাছে পেলেও পরীমণির বাসায় যখন র্যাব অভিযান চালায় তখন চয়নিকাকে দেখা যায়নি। পরীমণি আটকের খবরটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশ হলেও তখনও নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীও উধাও ছিলেন। এবার বিপদে মেয়ের কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়নি তাকে।
প্রসঙ্গত, চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ওই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। এই সিনেমার কাজের পর থেকে নায়িকা পরীমনির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমনি।
উত্তরা বোট ক্লাব কান্ডের পর পরীমনির পাশে ছায়ার মতো দেখা গেছে তাকে। কিন্তু গত ৪ আগস্ট পরীমণি আটক হওয়ার পর তাকে আর পাশে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে অবশ্য চয়নিকা গণমাধ্যমে বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার যোগাযোগ নিতান্ত পেশাগত কারণে।পরীমনির সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে কাজভিত্তিক আলোচনা হয়। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পরীমনির সঙ্গে কোনো দিনই আলাপ করিনি। আর আমিও তার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাইনি, জানতেও চাইনি।’