সবাই বিস্মিত, সুধা রানী হাদিস পড়াবেন
সুধা রানীর স্বামী গোবিন্দ্র চন্দ্র জানান, বিষয়টি নিয়ে খুবই ঝামেলাই আছি। কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তারাই ভুল করেছেন। এটি সমাধানের উপায় খুঁজছি।
‘হাদিস’ বিষয়ের প্রভাষক হতে পছন্দক্রম দিয়ে বুধবার (১৫ মে) প্রকাশিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন হিন্দু ধর্মের অনুসারী সুধা রানী। তিনি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বোথলা চন্দ্রপুর গ্রামের গোবিন্দ্র চন্দ্রের স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সুধা রানীর হাদিসের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে পোস্ট দিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দায়ী করছেন। অন্যদিকে, এনটিআরসিএ প্রার্থীকে দায়ী করেছে। প্রার্থী আবেদনের সময় যে বিষয় পছন্দক্রমে দিয়েছেন, সেই বিষয়ই তাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, সুধা রানী রংপুরের একটি কেন্দ্রে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেন। তিনি দিনাজপুর বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে ২০০৯ সালে এসএসসি এবং একই বোর্ড ও বিভাগ থেকে ২০১১ সালে এইচএসসি পাস করেছেন। এরপর ২০১৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক এবং ২০১৬ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম জানিয়েছেন, সুধা রানীর আবেদনপত্র ও পরীক্ষার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। সুধা রানী নিজেই হাদিস বিষয় চয়েজ দিয়েছেন। তার আবেদন অনুযায়ী ফল দেওয়া হয়েছে। এটি প্রার্থীর ভুলের কারণে হয়েছে।
সুধা রানীর স্বামী গোবিন্দ্র চন্দ্র জানান, বিষয়টি নিয়ে খুবই ঝামেলাই আছি। কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তারাই ভুল করেছেন। এটি সমাধানের উপায় খুঁজছি।