চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিমন্ত্রী দাতুক সেরি টিয়ং কিং সিং সম্প্রতি দেশটির সংসদে এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম মালয় মেইল।
লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী দাতুক সেরি টিয়ং জানান, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‘সেকেন্ড হোম’ পাস হোল্ডার রয়েছেন। তাদের মধ্যে পার্টিসিপেন্ট পাস হোল্ডার ২৭ হাজার ৭৫৯ জন এবং নির্ভরশীল ২৮ হাজার ৩০৭ জন। ২৪ হাজার ৭৬৫ জন এমএম২এইচ পাসধারী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পর যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার ৯ হাজার ২৬৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন ও যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪ জন রয়েছেন। এ ছাড়া তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারত প্রতিটি দেশের হাজারের বেশি এমএম২এইচ পাসধারী রয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি ত্রি-স্তরীয় ব্যবস্থা চালু করে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিকে পুনর্গঠন করেছিল। নতুন ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, নতুন কর্মসূচি এক বছরের জন্য ট্রায়াল-রানে থাকবে এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সমন্বয় করা হবে।
প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার– এই তিন ভাগে আবেদনকারীদের ভাগ করা হয়। প্লাটিনাম স্তরের আওতায় অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরের ২০ লাখ এবং সিলভার স্তরের অংশগ্রহণকারীদের ৫ লাখ এর একটি স্থায়ী আমানত থাকতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই বার্ষিক মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাসের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
এর আগে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া ‘মাই সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচিতে ৫ হাজার ৬১০টি এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯২৯টি আবেদন অনুমোদন দেয়। কর্মসূচিটি ২০২০ সালের আগস্টে সাময়িক বন্ধ ছিল। এর পর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৬৮টি আবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
‘সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচিতে আরও বেশি বিদেশি আবেদনকারীকে আকৃষ্ট করতে শর্ত সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।