সিন্ডিকেট ভাঙলে মাত্র ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করছে ব্যবসায়ী সমিতি। তারা বলছেন, অসাধু চক্রের হুমকিতে পড়তে হচ্ছে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রেতাদের। এ অবস্থায় আলোচিত গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল জানিয়েছেন, রোজার ঈদের পর ব্যবসাই ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। তবে এখনও খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল হ্রাসকৃত দামে ছয়শ’ থেকে সাড়ে ছয়শ’ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন।
রাজধানীর বাজারে যখন গরুর মাংসের দাম সাতশ’ থেকে সাড়ে সাতশ’ টাকা, তখন শাহজাহানপুরের খলিল গোশত বিতানে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
হঠাৎ গরুর দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে একশ’ টাকা বাড়িয়ে মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েও দুদিনের মাথায় তা থেকে সরে আসেন ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। লোকসান হলেও কথা রাখতে ২০ রোজা পর্যন্ত আগের দামেই বিক্রি করছেন মাংস।
তবে নানা জটিল পরিস্থিতিতে গরুর দাম বাড়ার কথা জানিয়ে খলিল বলছেন, ঈদের পর তিনি ছাড়ছেন ব্যবসা।
মিরপুর ১১ এর উজ্জ্বল গোশত বিতানে সম্প্রতি ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। তাঁর দাবি, লাভ-লোকসানের চেয়ে মানুষের উপকারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এভাবে সেবা করে যে কয়দিন পারি আমি রমজান মাসে চালাবো। অনেকে বলবে লাভ হবে না হচ্ছে না লস হচ্ছে। আমি সেদিকে তাকাব না।’
পুরান ঢাকার কসাইটুলির নয়নও মাংস বিক্রি করছেন ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায়। দিনে ৩০ থেকে ৩৫টি গরু বিক্রির কারণে মোটামুটি ভালই লাভ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আমরা গরু জবাই করি বেশি। আমাদের প্রফিট এদিক দিয়ে বেড়ে যায়। যাদের ছোট দোকান তাদের একটু দাম বাড়িয়ে বেচতে হয়।’
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, খামারীদের সিন্ডিকেটের কারণে গরুর মাংসের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে। তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দাম বেঁধে দেওয়া ২৯ পণ্যের তালিকায় গরুর মাংসও রাখার সমালোচনা করেন সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
রবিউল আলম জানান, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী ফার্মার অ্যাসোসিয়েশন যে কোনো সময় গরু কিনতে পারে এই সুযোগটাই তারা নিচ্ছে। সামনে কোরবানি, খলিল মাংসের দাম কমিয়ে দেওয়ায়, গরুর দাম কমে গেছে। সারা বাংলাদেশের ফার্মাররা আতঙ্কিত হয়ে গেছে। পরে তারা বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নিয়েছে। এভাবে সিন্ডিকেট ভাঙলে মাত্র ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব।