টিকটকে তরুণদের সুরক্ষায় ‘ইয়ুথ কাউন্সিল’ চালু হল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো ও মরক্কোর ১৫ জন টিনএজার নিয়ে গঠন হয়েছে এ কাউন্সিল।
প্ল্যাটফর্মে কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সুরক্ষা জোরদার করতে কোম্পানিকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কিশোরদের নিয়ে একটি ‘ইয়ুথ কাউন্সিল’ বা যুব পরিষদ গঠন করার কথা বেশ আগেই জানিয়েছিল টিকটক। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এ যুব পরিষদটি।
এরইমধ্যে সিইও শউ চিউসহ টিকটকের সঙ্গে এ পরিষদের সদস্যরা বৈঠকে বসেছেন বলে ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি।
ঘোষণাটি এমন সময়ে এল যখন টিকটক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর এক বিলের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সকে টিকটক বিক্রি করতে হবে নয়তো দেশটিতে নিষিদ্ধ হবে অ্যাপ।
এ বিলের বিরোধিতা করার জন্য কোম্পানিটি তার ব্যবহারকারীদের একত্রিত করার চেষ্টা করছে, যাদের মধ্যে অনেকেই কমবয়সী। টিকটকের সমালচোকরা প্রায়ই তরুণদের নিরাপত্তাকেই অ্যাপটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করেন।
নবগঠিত যুব পরিষদ এ সমালোচনার বিরুদ্ধে তেমন কিছু করবে কিনা তা পরিষ্কার নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট। তবে, এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন এক মিডিয়া সাক্ষরতা প্রচার নিয়ে এ পরিষদ কাজ করছে যা ভুল তথ্য, এআইয়ের তৈরি কনটেন্টসহ অনেক কিছুর ওপরে নজর দেবে বলে জানিয়েছে টিকটক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো ও মরক্কোর ১৫ জন টিনএজার নিয়ে গঠিত এ কাউন্সিল অ্যাপটির “ইয়ুথ পোর্টাল” ফিচার নিয়েও কাজ করছে, যা ইন-অ্যাপ প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সংস্থান করে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
টিকটকের মতে, এ পরিষদের উদ্দেশ্য নিরাপত্তা নীতি ও সমস্যাগুলোর বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া যা প্রায়ই টিনএজারদের প্রভাবিত করে। এ ছাড়া, দলটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক কোম্পানি প্রেসিডিও সেইফগার্ডিংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন তারা। এ কোম্পানিই তাদের নির্বাচন করতে সাহায্য করেছে ও তাদের সকলকে বেতন দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে টিকটক।
পরিষদটির সবচেয়ে সাম্প্রতিক বৈঠক হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে, আর সেখানে সিইও শউ চিউ যোগ দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছে টিকটক। ওই বৈঠকে অ্যাপটিতে কীভাবে কনটেন্ট রিপোর্টিং ও ব্লকিং কাজ করে সে বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চেয়েছিল যুব পরিষদ।
যুব পরিষদ শেষ পর্যন্ত কোম্পানির নীতিগুলোকে কতটা প্রভাবিত করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, প্ল্যাটফর্মটির জন্য টিনএজাররা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ পদক্ষেপ সেটিই তুলে ধরে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।
যুক্তরাষ্ট্রে টিনএজারদের মধ্য সবচেয়ে প্রভাবশালী অ্যাপগুলোর একটি টিকটক। বর্তমানে কোম্পানির সবচেয়ে বড় বাজারও তারা। আর কোম্পানিও নতুন বিলের বিরোধিতা করার জন্য তাদের দিকেই ঝুঁকছে। তবে, এ পন্থার ফল হিতে বিপরীত হতে পারে বলেও উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।