অটিস্টিক ছোট ভাইয়ের জন্য অটিজম সেবার প্রচারণার মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সাইমন হ্যারিস। আইরিশ রাজনৈতিক দল ফাইন গেলের নতুন নেতৃত্ব পাবার পর মাত্র ৩৭ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার ফাইন গেইল পার্টির প্রধান হিসেবে গত বুধবার (২০ মার্চ) পদত্যাগের ঘোষণার পর সাইমনই ওই পদের একমাত্র দাবিদার। তিনি দেশটির কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
বুধবার রাজধানী ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটে নিজ দল ফাইন গায়েলের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
সাংবাদিকদের ভারাদকার বলেন, ‘আমি ফাইন গেলের প্রেসিডেন্ট ও নেতার পদ থেকে আজ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমার উত্তরসূরি দায়িত্ব গ্রহণ করা মাত্রই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করব।
সাইমন হ্যারিসকে মিডিয়া ইতিমধ্যে “TikTok Taoiseach” বলে ডাকা হয়। এর আগে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিও ভারাদকার, তিনি ৩৮ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন।
রোববার (২৪ মার্চ) ফাইন গেইল পার্টির প্রধান নিযুক্ত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাইমন হ্যারিস বলেন, এটি ছিল আমার জীবনের অন্যতম সম্মানের বিষয়।
আগামী ৯ এপ্রিল আইরিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদে ভোটগ্রহণ হবে। ক্ষমতাসীন ফাইন গেইলের নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থনে তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
সাইমন হ্যারিসের জন্ম ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার:
সাইমন হ্যারিসের জন্ম ১৯৮৯ সালে। ডাবলিনের কাছের ছোট উপকূলীয় শহর গ্রেস্টোনসে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবা ছিলেন একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার।
হ্যারিস তার অটিস্টিক ছোট ভাইয়ের জন্য অটিজম সেবার প্রচারণার মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং পরে একটি দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফাইন গেইলের যুব শাখায় যোগদান করেন এবং বেশ দ্রুতই দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে পৌঁছান।
তিনি ২০১১ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং “বেবি অফ দ্য ডেইল” উপাধি লাভ করেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন।