পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মহাসচিব ওমর আইয়ুব খানকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। খবর সামা টিভির।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে কথা বলার পর দলটির নেতা আসাদ কায়সার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ওমর আইয়ুব হলেন পাকিস্তানের সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের নাতি। ওমরের বাবা গোহর আইয়ুব খান ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। ১৯৯৭ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন গোহর আইয়ুব খান, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের স্পিকারও ছিলেন।
ওমার তার বাবার পথ ধরে ওমর আইয়ুব খানও পাকিস্তান মুসলিম লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন। ২০০২ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়িদের (পিএমএল-কিউ) এবং ২০১৪ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) টিকিটে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে, আইয়ুব খানের নাতি সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অর্থ-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ২০১৫ সালের জুনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এমপি পদ হারান তিনি। এসময় তার নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বাতিল এবং অকার্যকর বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) ওমরের এলাকায় উপ-নির্বাচনেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন শীর্ষ আদালত। তবে ২০১৫ সালের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত ওই উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি ওমর আইয়ুব।
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই’র একজন প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন ওমর এবং নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন। সেসময় তার আবেদন গৃহীত হয় এবং সাতটি ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটের আদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে ২০১৪ সালে আইয়ুবকে বিজয়ী প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে।
এর তিন বছর পরে, ২০১৮ সালে ইমরান খানের হাত ধরে পিটিআই’তে যোগ দেন ওমর। ইমরানের সরকারে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। প্রথমে বিদ্যুৎমন্ত্রী, এরপর পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এবং সবশেষ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওমর। আর এবার সেই পিটিআই থেকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন তিনি।