গণ পরিবহণবাংলাদেশ

মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য সুখবর

রাজধানীবাসীর যোগাযোগ অনেকটা সহজ করে দিয়েছে মেট্রোরেল। প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীর চাপ। অনেকে ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় মেট্রোতে উঠতে পারছেন না। এক্ষেত্রে মেট্রোর ফ্রিকোয়েন্সির (মেট্রোরেল চলাচলে মাঝের বিরতি) সময় কমানো হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মেট্রোর বগি বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেট্রো তো বাংলাদেশ রেলওয়ে না, যখন তখন বগি বাড়ানো যাবে। এর বেশি বগি বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। ফ্রিকোয়েন্সিটা দুই মিনিট করে কমানোর একটা ব্যবস্থা হচ্ছে।’

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু করতে পারবো, কয়েক বছর আগেও এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। পৃথিবীর কোনো দেশে মেট্রোর বগির সংখ্যা পাঁচের বেশি নয়। আমাদের এখানে অলরেডি ছয়টা কাজ করছে। সুতারং এটি বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

‘মেট্রোরেলের বগি আরও বাড়ানো হোক’ পত্রিকায় এমন সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেট্রোরেলের বগি বাড়ানোর দাবিতে কোনো কোনো পত্রিকায় সম্পাদকীয় দেখে আমি অবাক হয়েছি। এটা তো একটা টেকনোলজিক্যাল বিষয়। এটা তো সাধারণ রেলওয়ে না যে বললেই…।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী অন্যান্য মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয় বলেন, ‘ফান্ড কমিয়ে প্ল্যান বিকৃত করতে আমরা চাইছি না।’

রাজধানীর যানজট কমাতে এবং যাত্রী চলাচল দ্রুত করার এখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। প্রতি ১০ মিনিট পর পর ছাড়ে মেট্রো। এখন প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন।

ডিএমটিসিএল বলছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সাড়ে তিন মিনিট পরপর ট্রেন চালানোর সক্ষমতা আছে তাদের। এখন চলছে ১০ থেকে ১২ মিনিট বিরতিতে। পুরোদমে এবং বাড়তি সময় ট্রেন চালাতে বাড়তি জনবল দরকার। জনবলের প্রশিক্ষণ দরকার। সেখানে ঘাটতি রয়েছে।

২০১২ সালে উত্তরা থেকে মিরপুর এবং ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এটি মেট্রোরেল লাইন-৬ নামে পরিচিত।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button