মার্চে চীনে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। সেই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া ও আইভরি কোস্ট। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ম্যাচ দুটি আয়োজন বাতিল করেছে চীন।
সূচি অনুযায়ী, হাংজু স্পোর্টস সেন্টারে মুখোমুখি হতো আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। কিন্তু শুক্রবার হাংজু স্পোর্টস ব্যুরো জানায়, তারা এই প্রীতি ম্যাচটি আয়োজন করবে না। ওই ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, শুধু নাইজেরিয়া নয়, আইভরি কোস্ট-আর্জেন্টিনা ম্যাচটিও হবে না।
এশিয়া অঞ্চল সফরে দিনকয়েক আগে ইন্টার মায়ামি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে হংকং একাদশের বিপক্ষে। হংকং স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে মেসির খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। কিন্তু তাদের হতাশ করে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ছিলেন বেঞ্চে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে হংকং জুড়ে।
হংকংয়ের এই ঘটনা চীনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। কারণ দেশটির ‘বিশেষ’ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং। সেখানকার ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করায় মেসির ওপর ক্ষোভ চীনের। বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কথায় সেটিই স্পষ্ট, ‘লিওনেল মেসি খেলবেন, এই ধরনের ম্যাচ আপাতত আয়োজনের পরিকল্পনা নেই বেইজিংয়ের।’
এর আগেই হাংজু স্পোর্টস ব্যুরো জানিয়েছিল, ‘কারণটা সবারই জানা। আমরা পর্যবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এই আয়োজন এগিয়ে নেওয়ার শর্ত পূরণ করা হয়নি।’
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত জুনে বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা।