দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক

শিশুটির বাবার প্রশ্ন, “হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করল? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়?”

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের একটি মহিলা কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসক।

মাদ্রাসাটির এক শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে অভিযোগ উঠলেও তাকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মুকসুদপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দ্বীপ সাহা।

ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা জানান, সন্ধ্যায় তার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পরে তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ ও জামা কাপড়ে রক্তের দাগ দেখতে পান। মেয়ে বলেছে, মাদ্রাসা থেকে তার হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে। কোনো কথা বলতে পারেনি।

দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে তাদের জানায়।

তিনি আরও বলেন, “হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করল? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়?

“কোথায় দিব শিক্ষাগ্রহণ করতে? শিক্ষক বাবার সমান, সেই শিক্ষক কীভাবে একাজ করতে পারল? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।”

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলেন, “শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।”

শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ‍তিনি।

ওসি আশরাফুল আলম বলেন, “রাতেই আমরা বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসায় গিয়েছি। কিন্তু সেখানে কোনো শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।”

“ধারণা করা হচ্ছে মাদ্রাসার কোনো শিক্ষকই এই ঘটনা ঘটাতে পারে। তাকে শনাক্তের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

Exit mobile version