বরিশাল নগরীতে রাস্তা থেকে কুকুর ধরে এনে মাংসের দোকানের পেছনে জবাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে নগরী জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল শহরের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অ্যানিমেল কেয়ার টিম নামে একটি সংগঠন জানায়, রায়হান নামের এক যুবক একটি বেওয়ারিশ কুকুর ধরে এনে মাংসের দোকানের পেছনে জবাই করে। বিষয়টি জানাতে পারলে মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তারা। এসে দেখেন কুকুরটি জবাই করা হয়ে গেছে। অভিযুক্ত রায়হান নগরীর বটতলা এলাকার। সে ওই বাজারে মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করে।
সংগঠনটির কর্মীরা বলে দাবি করেন, গরু ও খাসির মাংসের সাথে মিলিয়ে কুকুরের মাংস বিক্রির জন্যই কুকুরটি জবাই করেছে সে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী জানান, কুকুরের চামড়া ছাড়ানোর পর বোঝার উপায় নেই এটি কুকুর নাকি ছাগল। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তারা।
জানা গেছে, বটতলা বাজারে ১১টি মাংস বিক্রির দোকান আছে। সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত শহরের মধ্যে বাজার আছে ১৭টি। অর্ধশত মাংসের দোকান রয়েছে এসব বাজারে। এর একটিতে কাজ করে রায়হান।
বটতলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, তারা রায়হানকে চেনেন না। কুকুর জবাইয়ের কারণটিও তাদের জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জড়িত রায়হানের শাস্তি দাবি করছি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত রায়হানের বাড়িতে আমরা অভিযান চালায়। তবে তাকে পাইনি। সে বটতলা বাজারের একটি মাংসের দোকানের কর্মচারী। সে ওই এলাকার দিলবাগ গলির বাসিন্দা মিন্টু মোল্লার ছেলে। এ ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।