বিএনপির অর্থ সংস্থানের অন্যতম উৎস দলের ব্যবসায়ী নেতারা। তারা ক্রমেই দলের রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে অনেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন। একাধিক নেতা এরই মধ্যে দলই ত্যাগ করেছেন। সক্রিয় যারা আছেন, তারাও আড়ালে রাখছেন নিজেদের।
বিএনপির নেতারা বলছেন, সক্রিয় নেতাকর্মীদের প্রায় সবাই এখন এক বা একাধিক মামলার আসামি। তারা ঘরে থাকতে পারেন না, নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা এলাকায় যেতে পারেন না। এতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও এখন রুগ্ন। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির ব্যবসায়ী নেতাদের ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াসহ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জেলা পর্যায়ে অধিকাংশ নেতাই ঠিকাদারি করতেন। এখন সেটিও প্রায় বন্ধ।
দলের ব্যবসায়ী নেতারা দূরে সরে যাওয়ায় বিএনপির কোষাগারেও প্রভাব পড়েছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া ১০ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব বলছে, ৬ বছরই বিএনপির আয়ের চেয়ে ব্যয় হয়েছে বেশি।
রাজনৈতিক দলগুলোর দৃশ্যমান আয়ের অন্যতম বড় উৎস নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে। এ ছাড়া এককালীন অনুদান এবং দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা থেকেও মোটা অঙ্কের অর্থ আসে। বিএনপির ক্ষেত্রেও আয়ের উৎস একই।
বিএনপির আর্থিক সংকটে পড়ার কারণ হিসেবে দলটির একাধিক নেতা মোটাদাগে চারটি বিষয়কে সামনে এনেছেন। এগুলো হচ্ছে বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীদের দলত্যাগ, নির্বাচন বর্জনের কারণে দলীয় মনোনয়ন থেকে আয় বন্ধ হওয়া, সরকারের দমন-পীড়নের কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসায় মন্দাভাব এবং নিয়মিত চাঁদা আদায় না হওয়া।
নির্বাচনে কারচুপি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছে দলটি। এপ্রিলে হতে যাওয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও না যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে।
সর্বশেষ গত শনিবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দাম হ্রাস, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ‘অবৈধ সংসদ বাতিল’-এর দাবিতে নয়াপল্টন থেকে যে পতাকা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়েছে, সেখানেও দেখা যায়নি কোনো ব্যবসায়ী নেতাকে। বিএনপির নেতৃত্বের পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দল থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ ঘোষণা দিয়ে দল ছেড়েছেন। একমি গ্রুপের কর্ণধার শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান সিনহা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দায়িত্ব নিয়ে ২০২০ সালের ২২ জানুুয়ারি পদত্যাগ করেন। দলের মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে পদত্যাগের কারণ হিসেবে বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী চাপে ছিলেন সিনহা।
বিএনপির আরেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা ছিলেন প্যাসিফিক গ্রুপের মালিক এম মোরশেদ খান। দলের এই ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে ২০১৯ সালে পদত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগের কথা জানালেও মূলত নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই তিনি দল ছেড়ে গেছেন। ঢাকা-সাংহাই সিরামিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, রোজা প্রোপার্টিস, রোজা অ্যাগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুও পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায়িক কারণে। তিনি এখন বিদেশে অবস্থান করছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মঞ্জুর আলম ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পদত্যাগ করেছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগ করেছেন বিএনপির এমন ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিসিবি সভাপতি আলী আসগর লবি, সাবেক সংসদ সদস্য ও পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার প্রয়াত এম এ হাসেম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আলম, কেন্দ্রীয় সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি প্রয়াত মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য (বগুড়া) মোহাম্মদ শোকরানা, সাবেক সংসদ সদস্য (মাগুরা) প্রয়াত সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), প্রয়াত ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল।
তবে বিএনপিতে শতাধিক ব্যবসায়ী নেতা এখনো সক্রিয়। তারা হামলা-মামলা উপেক্ষা করেই দলের কর্মকা-ে যুক্ত আছেন। অবশ্য কেউ কেউ মাঠে সক্রিয় থাকলেও অনেকে নিজেকে আড়ালে রাখছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয় ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে অন্যতম এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মাল্টিমোড শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার। এ ছাড়া বর্তমানে কারাগারে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মুন্নু গ্রুপের কর্ণধার আফরোজা খানম রিতা, পচা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, ভাসভী গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল জামান মোল্লা, এস এ খালেক গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিইও সাইফ সিদ্দিক সাজু, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, ঢাকার ব্যবসায়ী আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জের নজরুল ইসলাম আজাদ, দীপু ভূঁইয়া, কুমিল্লার হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াসিন, চাঁদপুরের শেখ ফরিদউদ্দিন আহমেদ মানিক প্রমুখ। আড়ালে রয়েছেন রাজধানী পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি আবু মোতালেব, রাইজিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং যুবদলের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক, বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু, এবিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাদাত আহমেদ, এফবিসিসিআই নেতা বাহাউদ্দিন সাদী, বারাকা পাওয়ারের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম, এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সাঈদ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ইসলাম গ্রুপের মঈনুল ইসলাম শান্ত, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন; পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কুমিল্লার আবুল কালাম আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল, মুন্সীগঞ্জের আল মুসলিম গ্রুপের শেখ আবদুল্লাহ প্রমুখ। জেলা পর্যায়ের তালিকায় আছেন নারায়ণগঞ্জের মাহবুবুর রহমান সুমন, মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া, কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, লায়ন হারুনুর রশীদ, জয়পুরহাটের ফয়সাল আলিম, বগুড়ার জিএম সিরাজ, জামালপুরের রশিদুজ্জামান মিল্লাত, যশোরের টিএস আইয়ুব, সিরাজগঞ্জের রাকিবুল ইসলাম পাপ্পু, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ অর্থ বিএনপির তহবিলে জমা দিতেন, বর্তমানে এর সিকিভাগও পড়ছে না। সেই কারণে ১০ বছরের মধ্যে ৬ বছরই দলটির আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ছিল।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই বিএনপি সর্বশেষ ২০২২ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। ওই বছর দলটির আয় ছিল ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর দলটির আর সঞ্চয় হয়নি। সে সময় দলটির তহবিল দাঁড়িয়েছিল ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা। এরপর থেকে টানা তিন বছর, অর্থাৎ ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালে কেবল ব্যয় বেড়েছে। ২০২১ সালের দলটির আয় ছিল ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। বিপরীতে ব্যয় ছিল ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। ২০২০ সালে আয় হয়েছিল ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৯ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫১৩। ২০১৯ সালে আয় করে ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৭১০ টাকা। আর ব্যয় করে ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৭ টাকা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা আরও জানায়, ২০১৮ বছরে দলটির আয় ছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। তখন দলীয় তহবিলে উদ্বৃত্ত ছিল ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা। ২০১৭ সালে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকার বিপরীতে ব্যয় দেখিয়েছিল ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে ছিল। ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা।
তার আগের তিন বছর (২০১৩-১৫ সাল) বিএনপি ঘাটতিতে ছিল। ২০১৫ সালে দলটি আয় দেখিয়েছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। ব্যয় দেখায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ২০১৪ সালে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় দেখিয়েছিল ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। ২০১৩ সালের হিসাবে ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় করেছিল দলটি।
রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর টানা আট বছর ১১ মাস ২৪ দিন ক্ষমতার বাইরে ছিল বিএনপির। ওই সময় ক্ষমতায় ছিল এরশাদ সরকার। এরপর ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসে। এরপর পালাবদল হয়। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপিকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বড় ব্যবধানে হেরে যায় দলটি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। সেই সময় থেকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে দলটি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিয়ে বয়কট করে।
জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলের সুসময়ে অনেকেই এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী। কিন্তু তারা তো আন্দোলন-সংগ্রাম করে বর্ণাঢ্য জীবন লাভ করেননি। ফলে দেশের এমন পরিস্থিতিতে তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়াই স্বাভাবিক। তাই তাদের চলে যাওয়া নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।’
ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মামলা-হামলা করে সরকার গত দুই দশকে বিএনপিকে দমাতে পারছে না। এরপর সরকার ও তার এজেন্সিগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যবসার দিকে নজর দিয়েছে। ফলে অনেকেই নিজ ব্যবসা রক্ষার স্বার্থে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকছেন।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, বিএনপি নানান ধরনের লোকের সমন্বয়ে গঠিত। সবার আচরণ এক রকম হবে না। সময়-সময় নেতাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী নেতাদেরও কিছু কিছু বিচ্যুত হয়েছে।