বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নবমবার সংসদ সদস্য হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আর আটবার সংসদ সদস্য হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন। একইভাবে সাতবার সংসদ সদস্যের রেকর্ডের তালিকায়ও রয়েছেন অনেক। ফলে এবার সংসদের পালকে যুক্ত হয়েছে রেকর্ডের পর রেকর্ড।
গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থ ও মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে রেকর্ড করেছেন শেখ হাসিনা। একইভাবে পঞ্চমবারের মতো সংসদ নেতা হিসেবেও তিনি রেকর্ড গড়েছেন।
আগামী কাল মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। গত ১২টি সংসদের নির্বাচিতদের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অনেক বেশিবার সংসদ সদস্য হওয়ার রেকর্ড হয়েছে এবারের সংসদে। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে কয়েকটি অনন্য রেকর্ড। প্রথমত, তিনিই দেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা, যিনি পঞ্চমবারের মতো এই দায়িত্ব পেলেন। একইভাবে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার রেকর্ড তিনি গড়েছেন। এ ছাড়া আটবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
সংসদ নির্বাচনগুলোর ফলাফল থেকে জানা গেছে, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ১৯৭৯ সালের ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দ্বিতীয়বার ১৯৮৬ সালে, তৃতীয়বার ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে চতুর্থবার, ২০০১ সালে পঞ্চমবার, ষষ্ঠবার ২০০৮ সালে, সপ্তমবার ২০০৮ সালে, অষ্টমবার ২০১৪ সালে এবং এবার ২০২৪ সালে নবমবারের মতো নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি দলের শীর্ষপর্যায় এবং সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
অভিজ্ঞ এই সংসদ সদস্য বলেন, এই অর্জন এবং এই রেকর্ড জনগণের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করছেন।
১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনের অন্যতম নেতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবারসহ সাতবারের মতো ভোলা-১ আসন থেকে এবং ভোলা-২ থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে তিনি প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে কনিষ্ঠ সদস্য -হিসেবে এমএলএ নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর তিনি আওয়ামী লীগ থেকে ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও এবার ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এর মধ্যে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে দুটি করে আসনে নির্বাচিত হন।
এরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন।
পটুয়াখালী-২ আসন থেকে আটবার সংসদ সদস্য হওয়ার তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন আ স ম ফিরোজ। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয় হন। এরপর তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং এবার ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
মাদারীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান অষ্টমবারের মতো নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৬ সালে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও এবার ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দিনাজপুর-৫ আসন থেকে ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনি আটবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া (প্রয়াত), মো. দবিরুল ইসলাম, মির্জা আজম, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, বর্তমান কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং সাতবার নির্বাচিত হয়েছেন।
Congratulations my febaret politishian thufael i like
অবৈধ ভোট চোর হাসিনার আবার রেকর্ড
যার কোন লজ্জা নেই সেই পৃথিবীর সুখি দম্পতি তার মধ্যে এরা আছে,