ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীন, রাশিয়া ও ভারত বন্ধু হলেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করে। কালো পতাকা মানে কী? শোকের মিছিল। কালো পতাকা ভুয়া।’
বিএনপি ৩০ জানুয়ারি দেশব্যাপী কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণার জবাবে একই দিন সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ওইদিন লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করে। কালো পতাকা মানে কী? শোকের মিছিল। কালো পতাকা ভুয়া।’
তিনি বলেন, ‘চীন, রাশিয়া ও ভারত বন্ধু হলেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। দ্রব্যমূল্য শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গয়েশ্বর রায় পল্টনে হাজির হয়েছেন। কোথায় ছিলেন এতদিন? বলেছিলেন, আমরা অলিগলি খুঁজে পাব না। এখন গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাচ্ছেন না।
‘দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আছে আরও পাঁচ বছর। কবে হবে আন্দোলন? রোজার পর না ঈদের পর? মানুষ বাঁচে আর কয় বছর? এই আন্দোলন মানুষ মানে না। হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে। মানুষ আসে না।
‘বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ। তারা আর তারেকের ফরমায়েশি কথায় কান দেয় না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খেলা একটা হয়ে গেছে। নির্বাচনের খেলা শেষ। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’
বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কালো পতাকা কাকে দেখাবে? তাদের উচিত ছিল, যারা ব্যর্থ কর্মসূচি দিয়েছে তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা।
‘বিএনপিকে আগামী পাঁচ বছর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। বোকারা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, বোকার মতো হাসে। আমি মনে করি আগামী পাঁচ বছর বোকার মতো ফ্যাল ফ্যাল করে আপনাদের হাসতে হবে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের জন্য এমন কোনো হীন কাজ নেই তারা (বিএনপি) করেনি। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আজকে আমাদের আনন্দের দিন- পঞ্চমবারের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার সরকার এসেছে। আর এতে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
‘বিএনপি কালো পতাকা কাকে দেখাতে চায়? জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের আন্দোলনে বিদেশিরা সাড়া দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর তারা নতুন ষড়যন্ত্র করতে চায়। ইঁদুর যেমন গর্ত থেকে মিটিমিটি তাকায়, বিএনপিও তেমনি মিটিমিটি তাকিয়ে গর্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ ঢাকা দক্ষিণের নেতারা বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফ।