কালো পতাকা মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশের জনগণের বদলে অন্য রাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে তাকে বৈধ সরকার বলা যায় না। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার চীন, ভারত ও রাশিয়া সমর্থিত সরকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ৩০ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ প্রথম অধিবেশনের দিনটিতে সারা দেশে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শনিবার বিকেলে কালো পতাকা মিছিল শুরু হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা-থানা, পৌরসভা অর্থাৎ সব ইউনিটে কালো পতাকা মিছিল করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের বদলে অন্য রাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে তাকে বৈধ সরকার বলা যায় না। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার চীন, ভারত ও রাশিয়া সমর্থিত সরকার।
‘এই সরকার ডামি সরকার নয়, এই সরকার সমকামী সরকার।’
এদিকে পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ‘ডামি’ নির্বাচন বাতিলসহ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি ঢাকাসহ প্রতিটি মহানগরে এদিন কালো পতাকা মিছিল করেছে।
বেলা ২টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে কালো পতাকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটি।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডেএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশের পর বিকেল সাড়ে ৩টায় কালো পতাকা মিছিলের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মিছিলটি কাকরাইলে নাইটিঙ্গেল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে ফকিরাপুল ও আরামবাগ মোড় হয়ে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।