আওয়ামী লীগরাজনীতি

দল শক্তিশালী করতে আ. লীগ টানা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর টানা সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জেলা, মহানগর-উপজেলা সম্মেলনের পাশাপাশি করা হবে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনও। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব এনে সংগঠনে গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীন দলটি। নির্ভরযোগ্যসূত্র এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্যসূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে কমপক্ষে ১৮টি জেলা কমিটির সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক বছর। বারবার তাগাদা দিয়েও নির্বাচনের আগে সম্মেলন করা যায়নি। ঈদের পর থেকে টানা সম্মেলন করবে ক্ষমতাসীন দলটি। যেসব জায়গায় উপজেলা ভোট হবে, সেসব জেলায় সম্মেলন করা হবে না। সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যেগুলোর মেয়াদ শেষ সেগুলোর সম্মেলন চলবে। সম্মেলনের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সজাগ ও সতর্ক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সম্মেলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল শেষ হলে ঘরগোছানো কাজ শুরু হয় পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত চলে। সামনে উপজেলা ভোট আছে। যেসব জায়গায় ভোট হবে, সেখানে কোনো সম্মেলন হবে না। আর যেখানে ভোট নেই সেসব জেলা মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে থাকলে সম্মেলন করা হবে। মেয়াদউত্তীর্ণ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন চলবে। ভোটের পর বিএনপি-জামায়াত আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। তারা যেন নাশকতা করতে না পারে সেজন্য দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার নিদের্শনাও দেওয়া হচ্ছে। সম্মেলন ও সরকারবিরোধী অপরাজনীতি একসঙ্গেই মোকাবিলা করা হবে।’

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে জানান, আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে নাজুক। গত এক বছর আগে দুই মহানগরের থানা-ওয়ার্ড সম্মেলন করলেও শীর্ষনেতাদের কোন্দলের কারণে কমিটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিকবার আলটিমেটাম দিলেও কমিটি দিতে পরেনি নেতারা। থানা-ওয়ার্ডে কমিটি না থাকায় ভেঙে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। এ নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ওপর হাইকমান্ড চরম বিরক্ত বলে জানা গেছে। সে কারণে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার জোর প্রস্তুতি চলছে।

একটি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button