জামায়াতের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক চায় না বিএনপি
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির সঙ্গে সমান্তরাল কর্মসূচি দিয়ে আসছিল যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াত। নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার পতনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখা ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রাজপথেই থাকবে বলে জানিয়েছে। দফায় দফায় কর্মসূচি করছে। তবে মজার ব্যাপারে হলো বিএনপির এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে না জামায়াতকে। বিএনপির কর্মসূচি সমান্তরাল কর্মসূচিতে নেই দলটি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব রেখে বিএনপিকে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা একাধিক দেশ। এ কারণেই বিএনপি এখন জামায়াতের সাথে দূরত্ব রেখে চলছে। জামায়াতকে অনেকটা এড়িয়ে যাওয়ার কৌশলগত নীতি গ্রহণ করেছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও গত বছর থেকে অনেকটা কৌশলগত অবস্থান থেকে এক সাথে সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আসছিল বিএনপি-জামায়াত। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে বলা বলে জানা গেছে, শুরুতে বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসলেও জামায়াতের পরামর্শেই বিএনপি আস্তে আস্তে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়। এমনকি জামায়াতের পরামর্শেই ২৮ অক্টোবর বিএনপি তাণ্ডব চালায় বলে দাবি করেন দলটির একাধিক নেতা। তাদের পরামর্শে বিএনপি এই সশস্ত্র আন্দোলন অব্যাহত রাখে। হরতাল, অবরোধ সহ জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতিতে ফিরে যায় দলটি। আর এ কারণেই গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি রাজধানী সহ সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও শুরু করে। এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই জ্বালাও পোড়াও অব্যাহত রাখে। তবে জামায়াতের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত বিএনপি কিছু অর্জন করতে পারেনি। বরং এই ধরনের নাশকতা করায় বিএনপি কূটনীতিকদের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে।
বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২৮ অক্টাবরের পর থেকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে বারবার জামায়াতের প্রসঙ্গ আসছে। জামায়াতের সাথে বিএনপি সম্পর্ক কি বা কৌশলগত অবস্থান কি সে ব্যাপারে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। আর বিএনপি যে জামায়াতের সাথে কৌশলগত অবস্থানে থেকে একত্রে আন্দোলন করেছে সেটাও পশ্চিমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। যে কারণে সরকার একতরফা নির্বাচন করে ফেললেও পশ্চিমারা শেষ পর্যন্ত সরকারকেই সমর্থন দিচ্ছে। পাশাপাশি জামায়াতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে পশ্চিমাদের চাপ রয়েছে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, দলের হাইকমান্ডও চায়নি জামায়াতের সাথে কৌশলগত অবস্থানে যেতে। কিন্তু আন্দোলনের শেষ দিকে এবং আন্দোলনকে সহিংস করে তুলতে যাতে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় সেজন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একক ইচ্ছা বিএনপি জামায়াতের সাথে কৌশলগত অবস্থানে যায়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বিএনপির আন্দোলনের জন্য বুমেরাং হয় যায়। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকদের চাপে বিএনপি আবার জামায়াতের সাথে দূরত্ব থাকার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এটায় চায় আওয়ামী
দালান মিডিয়া হারামির বাচ্চা মিথ্যা সংবাদ দিয়ে দেশের মানুষ আইক্কা ওয়ালা বাঁশ দেয় কি ভাবে। দেখো জনগণ। সৈরাচার সরকার পতন হবে ইনশাআল্লাহ