নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব জিনিসের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। আমরা প্রতিদিন দেহের জন্য যেসব সামগ্রী ব্যবহার করি সেসবের মেয়াদবিধি নিজেদের জন্যই জানাটা জরুরি। বিশেষ করে টয়লেট্রিজ সামগ্রী কতদিন ব্যবহার করা যাবে তা জানা থাকা উচিত। সাবান, শ্যাম্পু, তেল, টুথপেস্টের মোড়কের গায়েই লেখা থাকে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, কিন্তু টুথব্রাশের মেয়াদ সাধারণত লেখা থাকে না অথবা থাকলেও আমরা সেভাবে খেয়াল করি না। দাঁত পরিষ্কার করার ব্রাশ ঠিক কত দিন পর পর বদলানো প্রয়োজন তা অনেকেরই অজানা।
কথায় আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝা উচিত, তাই দাঁতের যত্নে টুথব্রাশের মেয়াদটা জানা চাই।
টুথব্রাশের মেয়াদ
প্রাথমকিভাবে টুথব্রাশের ব্রাশগুলো নেতিয়ে পড়লে বা নরম হয়ে গেলে, ক্ষয় হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে ব্রাশটি নষ্ট হওয়ার পথে রয়েছে। আর অবশ্যই প্রতি তিন মাস পর পর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত। তবে ব্যক্তিভেদে সময়টা আরও কম হতে পারে। তবে কোনোভাবেই তিন মাসের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়।
এছাড়াও কোনো অসুস্থতা, বিশেষ করে ভাইরাল রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলে ফেলবেন। বিশেষ করে মৌসুমি জ্বর, কাশি, ঠান্ডা থেকে সেরে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ, রোগ সেরে গেলেও রোগের জীবাণু লেগে থাকতে পারে টুথব্রাশে।
ব্রাশ না বদলালে কী হবে
নিয়মিত বিরতিতে টুথব্রাশ পরিবর্তন না করলে ব্রাশের কার্যকারিতা কমতে থাকে। ঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার হবে না। দাঁতের কোনায় খাবারের কণা ও জীবাণু জমে থাকতে পারে। দাঁতের গোড়ায় খাবার জমে শক্ত হয়ে পাথর সদৃশ বস্তুতে পরিণত হয়, যা দাঁতের গোড়া ক্ষয় করে, মাড়ি আলগা হয়ে পড়ে।
নিয়মিত যে ব্রাশটি ব্যবহার করেন সেটি দাঁত মাজার পর খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক দিন গরম পানি দিয়ে ব্রাশ পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে ভেতরে জমে থাকা জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যাবে।