বর্তমান সময়ে অল্প বয়সীদের মধ্যেও হাড়ের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এই ব্যথা একবার শুরু হলে সহজে থামতে চায় না। শীতকালে এই ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই মৌসুমে সবারই হাড় দুর্বল হয়ে যায়। কারণ শীতে সবারই জীবনযাত্রা একটু উল্টে-পাল্টে যায়। ঠাণ্ডার কারণে অনেকেই এই ব্যায়াম করতে পারেন না। এতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শীতকালে সবারই হাড় মজবুত রাখতে ক্যালসিয়িাম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ খাওয়া উচিত।
এছাড়াও শীতে হাড় মজবুত রাখতে আরও যেসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি:
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার : হাড় মজবুত রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার দরকার। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রক্তে প্রতি মিলিমিটারে ৩০ ন্যানোগ্রাম ভিটামিন ডি থাকা দরকার, না হলে তাকে নানা সমস্যায় ভুগতে পারে। নিয়মিত সূর্যালোক তার গায়ে লাগানো দরকার। তাছাড়াও প্রতিদিন তাকে সবুজ শাকসবজি, মাছ, কমলালেবু, দুধ, বাদাম খাওয়া দরকার।
জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার:
হাড় মজবুত রাখতে শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলেই হবে না। অবশ্যই খাদ্যতালিকায় জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। তাহলে হাড় মজবুত থাকবে। যেমন- শস্যজাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তাছাড়াও রাখতে হবে অ্যাভোকাডো এবং মৌসুমের না ফল।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার :
হাড় মজবুত রাখতে প্রোটিনেরও খুব দরকার। এ কারণে শীতকালে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় দই, পনির, চিকেন, মাটন, ডিম,সবুজ শাকসবজি, ফল ইত্যাদি রাখবেন।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার :
এই ভিটামিন শুধুমাত্র ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে তা নয়। হাড়ও মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। মিষ্টি ও টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতিদিন লেবু, কমলা, লেবু, আনারস, পেয়ারা, আমলকি খান।
খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখা ছাড়াও হাড় মজবুত রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বাইরে যেতে না পারলে ঘরেই আধঘন্টা থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করবেন। এতে আপনার শারীরিক পরিশ্রম হবে। শরীর সুস্থ থাকবে।
হাড় মজবুত রাখে দই :
দই প্রোবায়োটিক, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এবং ফোলেটের একটি ভাল উৎস। গবেষণায় জানা গেছে যে নিয়মিত পর্যাপ্ত দই খাওয়ার ফলে হাড়ের ফ্র্যাকচার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এ ছাড়া হাড় দুর্বল হলে নিয়মিত ক্যালসিয়ামযুক্ত দই খাওয়া ভাল।
হাড় মজবুত রাখে সামুদ্রিক মাছ :
বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন সার্ডিন, টুনা, ক্যাটফিশ, স্যামনের মতো মাছ হল ভিটামিন ডি-এর শক্তিশালী উৎস। ভিটামিন ডি হাড়ের খনিজকরণে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি ছাড়া হাড় শরীর থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না।