ইরাকে মোসাদের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান!

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইরান। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায় ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি। হামলার শিকার স্থাপনার ইরাকে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর রয়েছে বলেও দাবি করেছে তেহরান। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাকে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর এবং ইরানবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন কয়েকটি স্থাপনা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এসব স্থাপনার সবই সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে ইরানবিরোধী যেসব হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর জবাবেই ইরানের এই হামলা। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোতে ইরান সমর্থিত হুতিদের একের পর এক হামলাসহ আঞ্চলিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এতে উত্তেজনা বিরাজ করছে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও।

বিবৃতির অন্য অংশে আইআরজিসি বলেছে, তারা ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং এটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ওই অবকাঠামোটি ‘গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রমের বিকাশ এবং এই অঞ্চল ও ইরানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নকশার কেন্দ্র’ ছিল। ইরাকের ইরবিলে মার্কিন কনস্যুলেটের আশপাশেই অবস্থান ছিল এই স্থাপনাগুলোর।

জানুয়ারির প্রথম দিকে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেরমানে বড় একটি সমাবেশে জোড়া বোমা হামলা হয়। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ৯৩ জন। দিনটি ছিল ইরানের সাবেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর চতুর্থ বার্ষিকীর দিন।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের রাজধানী ইরবিলে অন্তত ৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের এই হামলার ব্যাপকতা এত বেশি ছিল, হামলার জেরে ইরবিল বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হামলায় ইসরায়েলি-আমেরিকান এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ করেছে ইরান।

Exit mobile version