ক্রিকেটখেলা

মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচকের দায়িত্বে নান্নু-বাশার

গত বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায় জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের। এরপর কেটে গেছে ১৪ দিন। কিন্তু নির্বাচক প্যানেল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।

যে কারণে মেয়াদ শেষেও নির্বাচক কমিটিতে বহাল আছেন নান্নু ও বাশার। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে, নতুন নির্বাচক প্যানেল কবে আসবে? না কি নান্নু-বাশাররাই থেকে যাবেন?

বাংলাদেশের মতো ক্রিকেট উন্মাদনার দেশে নির্বাচকরা সাধারণত থ্যাংকলেস জব করে থাকেন। অর্থাৎ, দল ভালো করলে প্রশংসা জোটে না তাদের। তবে দল খারাপ করলে সমালোচনার তীরে রক্তাক্ত হতে হয় তাদের।

তাই তো গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব-শান্তদের চরম ব্যর্থতায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে। নির্বাচকদের পরির্বতনের দাবি তোলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। নান্নু-বাশারদের মেয়াদের শেষ দিক হওয়ায়, নতুন নির্বাচক হিসেবে অনেকের নাম সামনে এসেছিল।

এতে খ্যাতিমান কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমসহ বয়সভিক্তিক দলের কোচ হান্নান সরকারের নামও ছিল। এরপর হঠাৎ করেই থেমে যায় সেই আলোচনা। স্বপদে বহাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নান্নু-বাশার।

নান্নুরাও স্বপদে বহাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন। আর নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত তারাই দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, বিসিবি থেকে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে। পরের বোর্ড মিটিং না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছু বলতে পারব না। এর আগেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা কাজ চালিয়ে গিয়েছিলাম। গত ২৫ ডিসেম্বর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত আছেন বোর্ড সভাপতি। নির্বাচনের পর নির্বাচক প্যানেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ৭ জানুয়ানির নির্বাচনে জয়ের পর নতুন সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তাও পার হয়ে গেছে বেশ কয়েকদিন। এখন নির্বাচক কমিটির কী হবে? এবার জালাল ইউনুস অপেক্ষা করতে বলছেন পরবর্তী বোর্ড সভা পর্যন্ত।

চলতি মাসের শেষ ভাগে হওয়ার কথা বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। সেই সভায় নির্ধারিত হবে নান্নু আর সুমনের ভাগ্য। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে আপাতত সেই সভার দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button