মার্কিন সিনেটররা শেখ হাসিনাকে যে আহ্বান জানালেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন সিনেটের হুইপ ডিক ডারবিন, সিনেটর জেফ মার্কলি, টিম কেইন ও পিটার ওয়াচ। গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।আজ বুধবার নিজের অফিসিয়াল এক্স একাউন্টে এক পোস্টে এই বিবৃতি শেয়ার করেন সিনেটর ডিক ডারবিন।
বিবৃতিতে সিনেটররা বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অপব্যবহার রোধ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সব দলকে সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কার্যকর সংলাপের আহ্বান জানাই।’
গত ৭ জানুয়ারির ভোট নিয়ে সিনেটররা আরও বলেন, ‘এদিন শান্তিপূর্ণভাবে কোটি কোটি বাংলাদেশি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু এই নির্বাচন ও নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলের সহিংসতা শিকার হয়। মূল বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়াও হতাশাজনক। নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীদলীয় নেতা ও সুশীল সমাজের কর্মীরা হয়রানি ও গণগ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন।’
সহিংসতাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সিনেটররা বলেন, ‘নির্বাচনের পর বাকস্বাধীনতা ও সুশীল সমাজের অধিকার চর্চাকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।
নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে যা জানাল জাতিসংঘ
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ। আজ বুধবার সংস্থাটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই অবস্থানের কথা জানান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক।
ব্রিফিংয়ে দুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, ‘নির্বাচনের নামে বাংলাদেশে যেসব মানুষ নিপীড়িন ও বঞ্চিনার শিকার হচ্ছেন তাদের ব্যাপারে জাতিসংঘে মহাসচিবের অবস্থান কী? আমরা জালভোট সম্বলিত একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন দেখেছি যা বড় রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করেছে। এই ব্যাপারে মহাসচিবের অবস্থান কী?’
জবাবে দুজারিক বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি। জাতিসংঘ মহাসচিব সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করার এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। প্রত্যেকের আইনি অধিকারকে সম্মান দিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য এটা খুবই প্রয়োজন।’
বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে মহাসচিব উদ্বিগ্ন বলেও জানান দুজারিক।