জাতীয়বাংলাদেশ

হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলকে জামিন দেননি

কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন জনগণ মানবে না: রিজভী

শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, বার বার কর্তৃত্ববাদী এ দুঃশাসন তারা আর মানবে না বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশান ১ নম্বর এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

জনগণের উদ্দেশে রিজভী বলেন, এ অবৈধ সরকার একতরফা প্রতারণার নির্বাচন করে গোটা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সবাই আজ রুখে দাঁড়ান। জনগণ নির্বাচন বর্জন করে, প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকূল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তার আগে গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরও আগে ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button