ড. ইউনূসের কারাদণ্ডের খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের রায়ের সংবাদ বিশ্ব গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ড পান তিনি। এরপরই বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।

এসব গণমাধ্যমের তালিকায় রয়েছে আল-জাজিরা, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, গালফ নিউজ, ফ্রান্স২৪, দ্য গার্ডিয়ান, ব্লুমবার্গ, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া, মিন্টের মতো প্রতিষ্ঠান।

‘বাংলাদেশের শ্রম আইন মামলায় নোবেল বিজয়ী ইউনূস দোষী সাব্যস্ত’ শীর্ষক শিরোনাম করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ছয় মাসের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন। সোমবার শ্রম আইনের একটি মামলার রায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও তার সমর্থকরা এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন।

প্রতিবেদনে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় ৮৩ বছর বয়সী ড. ইউনূসকে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে দরিদ্রদের ‘রক্ত চোষার’ যে অভিযোগ এনেছেন তাও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

রায়ের আগে প্রধান প্রসিকিউটর খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি ড. ইউনূস এবং অন্যরা শ্রম আইনের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন।’ একই দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ড. ইউনূসকে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

অপরদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ড. ইউনূসসহ তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোম্পানির শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন না করা এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে চারজনই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এর আগে আজ বিকাল ৩টার দিকে ড. ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। অপরদিকে একই মামলার অন্য তিন আসামিকেও একই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। একইসঙ্গে এই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

Exit mobile version