শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না, কিন্তু যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে…এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের রায় আছে যে, বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। যাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ, তারাই ভোট চুরি করে। তারা ভোট চুরি ছাড়া জিততে পারে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল সবসময় মানুষের মন জয় করে তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছে, যে কারণে কখনও ভোট চুরির প্রয়োজন হয়নি।
বছরের প্রথম দিন সোমবার রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৫ বছরে তার সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সে জন্যই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। আগামীতেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না, কিন্তু যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে… এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের রায় আছে যে, বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। যাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ, তারাই ভোট চুরি করে। তারা ভোট চুরি ছাড়া জিততে পারে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি ভোট চুরি করতে পারবে না বলে নির্বাচনে আসেনি।
২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে এলেও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, দলটিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, তারা আন্দোলনেও সফল হতে পারবে না।
নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এখন তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কেন নির্বাচন বানচাল করবে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে উন্নয়ন হয়েছে। পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে ও সংবিধান লঙ্ঘন করে। তারা মানুষের ভাগ্য গড়েনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
তিনি বলেন, “আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য ‘হ্যাঁ-না’ ভোট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে দিয়েছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই স্লোগানটিও আমাদের দেয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘শুনেছি, সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা কামাই করে। জুয়া খেলে টাকা কামাই করে। সে টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একমাত্র শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করতে আমি প্রস্তুত। বোমা-গ্রেনেড কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, “তাদের (বিএনপি) আমলে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিষিদ্ধ, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলতেও ভয় পেতেন। সে সময় অনেকে লুকাতেন, ভয় পেতেন…তারা (বিএনপি) ঠিক সেই অবস্থায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘পাশাপাশি এ দেশের আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের যে গতিটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব করেছিলেন, সেটিও থেমে যায়। সেই যে ২৭৭ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় জিয়ার আমলে ও এরশাদের আমলে… কোনো আমলেই সেই মাথাপিছু আয় আর বৃদ্ধি পায়নি; বরং জিয়ার আমলে প্রতি বছর তা মাইনাস হতে থাকে। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য না গড়লেও ক্ষমতাসীনদের ভাগ্য গড়ে ক্ষমতার উৎকৃষ্টতা বিলিয়ে ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন। এসব উন্নয়নের কারণে ঢাকাবাসী আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বক্তৃতা শেষে ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৫টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন দলীয় প্রধান। তাদের ‘রত্ন’ আখ্যায়িত করে বলেন, ‘ঢাকাবাসীর জন্য ১৫টি রত্ন দিয়েছি।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
দুই নির্বাচনে জনগণের ভোট চোরি করে। এখন জনগণের কাছে কান্না কাটি করেন। এবার চোরি করার সুযোগ নাই আপা। দেশের জনগন অবৈধ নির্বাচন বয়কট করছে।
আপনার এম পি দের হয়