মেজর হাফিজ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনের কারাদণ্ড

মেজর হাফিজের ২১ মাসের কারাদণ্ড

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

তাদের মধ্যে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো. হানিফকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেছ গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার উপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমন করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ী ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চালাকালীন সময়ে আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনের কারাদণ্ড

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত কারাগারে থেকে তাকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত দেখিয়ে পৃথক দুই ধারায় এক বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেন।

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা এ মামলার এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেন, তারা গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর (রোববার) সকালে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ওই দিনই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Exit mobile version