আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ আরো অনেক দল বর্জন করায় এবারও মাঠে আওয়ামী লীগের কার্যত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির ফলে নির্বাচনটা উত্তাপহীন একতরফা হতে চলেছে। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, একতরফা এ নির্বাচনে দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের সাথে আসন ভাগাভাগির পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তবে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয়ের মধ্যে অনেক স্থানে ‘ডামি’ প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসাবে ভোটের মাঠে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। বলা যায়, নির্বাচনী মাঠে এখন তারই উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের সাথে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষে ইতোমধ্যে ১ জন নিহত হয়েছেন। এসব মিলিয়ে বলা যায়, ডামি প্রার্থীরাই এখন অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
১৪ দলীয় জোটের শরিক ও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া প্রায় সবগুলো আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ছাড়াও কমপক্ষে ৩০টি আসনে নৌকার প্রার্থীকে নিজ দলের স্বতন্ত্র (ডামি) প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করতে হবে। জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া অনেকগুলোর প্রায় সব কটিতেই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র হিসাবে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ফলে জাতীয় পার্টির এ সমঝোতার ২৬ আসনের অনেকগুলোতেই পরাজয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সমঝোতার ফলে জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চরম হতাশ-ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ কারণে দলের মনোনয়ন না পেয়ে ডামি হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে যারা তাদের পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন, আমি ছাত্রলীগ থেকে ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারিনি। এবারও সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তবে এবার আমরা চেষ্টা করছি, যেহেতু আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের একজনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে তার মার্কাকেই নৌকা ভেবে নির্বাচনের মাঠে নামার।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি কাজ করছে তা হলো, জোটের প্রার্থী হিসাবে অন্য দলের নেতাকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি। কিন্তু দেখা যায়, দল ক্ষমতায় থাকার পরও এলাকায় অন্য দলের এমপি থাকায় ঠিক মতো উন্নয়ন হয় না। আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হই। তাই এবার আমরা আমাদের দলীয় নেতা যিনি স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। এই স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি আওয়ামী লীগেরই নেতা। তাই তিনি পাস করলে এলাকায় কাজ করতে পারবেন। কিন্তু অন্য দলের নেতাকে নির্বাচিত করলে আমাদের এলাকা উন্নয়নবঞ্চিত হবে।
বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় যে একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনিতেই এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে, এ অবস্থায় যদি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক অর্থাৎ ৫০ শতাংশ না হয় তাহলে এর গ্রহণযোগ্যতা আরো প্রশ্নের মুখে পড়বে। তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আওয়ামী লীগ এবার ডামি প্রার্থী রাখার কৌশল নিয়েছে। যাতে নিজেরা নিজেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হলেও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পারে। তাই আওয়ামী লীগ এবার আগে থেকেই দলের ডামি অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটি ঘোষণা দিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তারা কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে না। একই সাথে দলের হাইকমান্ড থেকে মনোনীত প্রার্থীদেরও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই এবার জিতে আসতে হবে। এমনকি ১৪ দলীয় জোটের শরিক ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের তুলে নেওয়ার জন্য দরকষাকষি করলেও ক্ষমতাসীন দল তাতে সায় দেয়নি। ক্ষমতাসীনরা শরিক ও মিত্রদের জন্য কিছু আসনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিলেও রয়ে গেছেন নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা বলেছে, নিজেরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসবে। অন্যদেরও সেটা করতে হবে। তাই সব মিলিয়ে এই একতরফা নির্বাচনেও ডামি প্রার্থীরাই উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর বর্তমানে ভোটের মাঠে এক হাজার ৮৯৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৩৮৪ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদের একাধিক এমপি, একাধিক সাবেক এমপি ও মন্ত্রিসভার সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। রয়েছেন সংগঠনের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারাও। এর বাইরে জাতীয় পার্টির হাতে গোনা কয়েকজন, বিএনপির বহিষ্কৃত দুই-একজন এবং কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন কয়েকজন স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
ইসির সমন্বিত প্রার্থী তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২২১টিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বেশ কিছু আসনে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছেন। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া ৬টি আসনের মধ্যে রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বাদে বাকি ৫টিতেই রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে কুড়িগ্রাম-১ (এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান), পটুয়াখালী-১ (এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার), ময়মনসিংহ-৫ (সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি), মানিকগঞ্জ-১ (জহিরুল আলম রুবেল) ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (এ কে এম সেলিম ওসমান) ছাড়া বাকি ২২টি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোকাবিলা করতে হবে জাপার প্রার্থীকে।
এদিকে ক্ষমতাসীন দলেরও প্রায় অর্ধশত প্রার্থীকে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যসহ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার জন্যও নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা জেলার যে ২০টি আসন রয়েছে এর মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ১টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা-১৮ এ আসনটিতে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরর স্ত্রী শেরিফা কাদের। এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া হাবিব হাসানকে প্রত্যাহার করা হলেও স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী। তার প্রতীক কেটলি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই কেটলি প্রতীকের নির্বাচন করছেন। তারা বলছেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য আমাদের দলীয় লোকের এমপি হওয়া প্রয়োজন। অন্য দলের লোক যারা করুণায় বিরোধী দলে যাবে তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এলাকার কোন উন্নয়ন হবে না। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক বিমান বন্দর থানা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, খসরু চৌধুরী আমাদের দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। দল সরকার গঠন করলে তিনি এলাকার উন্নয়নে যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারবেন। বিরোধী দলের কেউ এমপি হলে সেটা সম্ভব হবে না। তাই এলাকার উন্নয়নে স্বার্থে আমারা আওয়ামী লীগেরই ডামি প্রার্থীকে ভোট দেব। তার জন্যই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। এ ছাড়া ঢাকা-৪ আসনে আ. লীগের সানজিদা খানম, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস আওলাদ হোসেনের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে।
জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া নীলফামারী-৩ ও ৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে বর্তমান সংসদের জাপার দুই এমপিকে। এ দুটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশ শক্তিশালী। রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকেও রংপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হবে।
গাইবান্ধা-১ আসনে জাপার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সঙ্গে নৌকার প্রত্যাহার করা প্রার্থী আফরুজা বারীর মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ নিগারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। একইভাবে গাইবান্ধা-২ আসনে জাপার আব্দুর রশিদ সরকারের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের শরীক জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি জিয়াউল হক ও কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বেশ ঝুঁকিমুক্ত। কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ওয়ার্কার্স পার্টি মুস্তফা লুৎফুল্লার মধ্যে চতুর্মুখী লড়াই হতে পারে। সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টিকে লড়তে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগের সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সঙ্গে।
বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী রাশেদ খান মেননকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হবে। মেননের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হকের লড়াই হবে। ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহম্মদ শাহজাহান ওমরকে মোকাবিলা করতে হবে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান। পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিপক্ষে লড়ছেন তারই একসময়কার এপিএস জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ।
আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহসচিব মজিবুল হক চুন্নুকে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমানে এ আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে ঠেকাতে স্খানীয় নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে তিনজন থেকে একজনকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।