ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শুজাইয়া জেলায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে বড় ধরনের প্রাণহানির পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দুর্ধর্ষ গোলানি ব্রিগেডকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর গোলানি ব্রিগেডের প্রত্যাহার ইসরায়েলের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে দ্য নিউজ আরব ও হিন্দুস্তান টাইমস।
ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল ১৩ বলেছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে বড় ধরনের প্রাণহানির পর গোলানি ব্রিগেডকে পুনরায় সংগঠিত করতে তাদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গাজায় পুনরায় মোতায়েন করার আগে তাদের ৪৮ ঘণ্টার বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এই গোলানি ব্যাটালিয়ন গাজা সিটির আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ ভার অন্য বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেছে। তবে কোন বাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে সেটার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির আশপাশের এলাকার অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে। যদিও আগে একই ধরনের ঘোষণা দেওয়ার পর দুপক্ষের মধ্যে ক্রমাগত সংঘর্ষের খবর সামনে এসেছে।
সম্প্রতি শুজাইয়া জেলায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা গোলানি ব্রিগেডের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা ও আহত করেছে। এদের মধ্যে গোলানি ব্রিগেডের নিহত ১০ সদস্য এবং চারজন গুরুতর আহতের নাম প্রকাশ করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাও ছিলেন।
শুজাইয়া জেলা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবে খ্যাত। টেল আল-মুন্তারের স্থানটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অঞ্চলটি সামরিক দিক থেকে বেশ গুরুত্ব পেয়ে আসছে। এর আগে ২০১৪ সালেও এই এলাকায় গোলানি ব্রিগেডের বেশ কয়েকজন সেনা প্রাণ হারিয়েছিল।