বাংলাদেশে বাস-ট্রেনে নাশকতাকারীদের শাস্তি চায় জাতিসংঘ
বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাস ও ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ততই যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনা বাড়ছে। গত মঙ্গলবার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেওয়া হয়। এতে মা ও শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব নাশকতাকে জাতিসংঘ কিভাবে দেখে? এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের জন্য শোক ও তাদের স্বজনদের আমরা সমবেদনা জানাই। আমি মনে করি, এসব নাশকতা উৎসের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনাটা অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন ঘটনায় ৩ শতাধিক যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল সজল আনসারি বরাবরের মতোই প্রশ্ন করেন জাতিসংঘ বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাবে কিনা? জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, মুশফিক, আমি আগেও আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আর আপনার প্রশ্নেই আমাদের উত্তর আগেভাগে দেওয়া আছে, সেটি হলো আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাই। জনগণ যেন কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই বাধাহীনভাবে ভোট দিতে পারে। আর অবশ্যই নির্বাচনের পরেও আমাদের কিছু বলার থাকবে, তবে আপাতত আমাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ছাত্র লীগ যুব লীগ বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়