‘‘শালা…খায় মদ..আবার নামাজ চো*য়, একদম ফাডায়া লামু শালা”
নামাজের সময় মিছিল থামাতে বলায় নৌকার প্রার্থীর গালিগালাজ-হুমকি
নামাজের সময় মিছিল থামাতে বলায় নৌকার প্রার্থীর গালিগালাজ-হুমকি ।। মুন্সীগঞ্জে নামাজের সময় মিছিল থামাতে বলায় নৌকার প্রার্থীর গালিগালাজ-হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে গত সোমবার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল। এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ (গজারিয়া-সদর) আসনের পরপর দু’বার এমপি হয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, মৃণাল কান্তি দাস তার লোকজন নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছেন। এ সময় এক ব্যক্তি বলছিলেন- ‘মিছিল কইরেন না ভাইয়েরা, নামাজ চলছে। এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে যান নৌকার এই প্রার্থী। তিনি ওই ব্যক্তিকে ধমক দিয়ে বলেন- ‘ওই বেটা চুপ। ফাডায় লামু একদম।’ ভিডিওতে আরও দেখা যায়, তিনি একাধিক গালি দিয়ে বলেন- ‘শা…. খায় মদ, আবার নামাজ পড়ে। শা…গো ফাডায় লামু’ বলে সামনের দিকে এগোতে থাকেন তিনি।
মৃণাল কান্তি দাসের এমন আচরণকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, মসজিদে আসরের নামাজ চলছিল।
প্রতীক বরাদ্দের পর আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। ওই সময় নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস তার লোকজন নিয়ে মিছিল করতে করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলো। মসজিদের কাছাকাছি আসলে পাশ থেকে একজন ফেরিওয়ালা নামাজের জন্য মিছিল করতে নিষেধ করেন।
এ সময় মৃণাল কান্তি নামাজ নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। এতে তিনি মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। আমি তার এমন আচরণের জন্য নিন্দা জানাই। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দুর্ভাগ্যজনক এ রকম কথা আমার মুখে উচ্চারিত হয় না। নামাজ নিয়ে আমি এমন কথা কেন বলতে যাবো! কী কারণে বকা দিতে যাবো। মানুষ তো নামাজ পড়তে যাবেই
https://www.facebook.com/saerzulkarnain/videos/338535708913008/